মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় কোমলমতি শিশু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
এটি এমন এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা কোনো ক্ষতিপূরণ দিয়ে ভুলে যাওয়ার নয়।
ঝরে গেছে কতগুলো ফুল, নিভে গেছে কতগুলো স্বপ্ন!
•কে জানত—এই শিশুদের কারও কারও স্বপ্ন ছিল একদিন বড় হয়ে পাইলট হওয়ার।
•আজ যারা আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালের শয্যায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে—হয়তো তাদের মধ্যে কেউ বড় হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, মানুষের সেবা করতে চেয়েছিল।
আর যাদের চোখে ছিল দেশের সেবা করার অঙ্গীকার,
•হয়তো তাদের কেউ বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই দুর্ঘটনার পর সত্য গোপন করতে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের ওপর যে নৃশংস ও ঘৃণ্য লাঠিচার্জ করা হলো—তা সভ্য সমাজের কোনো মানদণ্ডেই গ্রহণযোগ্য নয়।
•মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই ভয়াবহ ঘটনায় শোকাহত পুরো দেশ, শোকাহত পুরো জাতি।
আমরা এই ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত, দুঃখিত এবং লজ্জিত।
❝আমরা শহরে-গ্রামে, পাড়ায়-মহল্লায় বড় বড় নেতা তৈরি করতে পেরেছি, কিন্তু দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় আপডেট দিতে ব্যর্থ হয়েছি।
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতার কথায় আর কী-ই বা বলব!
•বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে ১৯৭১ সালে।
আজ ২০২৫—এই ৫৪ বছরে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কতটা অর্জন করেছি, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
•বাংলাদেশের পর স্বাধীন হওয়া অনেক রাষ্ট্র আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে বিশ্বদরবারে। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান পর্যন্ত আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
•তবু আমরা আশাবাদী।
আমরা চাই—একটি সুন্দর, সুস্থ, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ বাংলাদেশ।
•এটাই আজ কোটি কোটি মানুষের একটাই প্রার্থনা, একটাই চাওয়া।