Skip to content

SAMPRATIK

[WATCHER OF TIME,REVEALER OF TRUTH.]

cropped-SAMPRATIK-2.png
Primary Menu
  • NATIONAL
  • DISCUSSED
  • ECONOMY
  • POLITICS
  • CRIME
  • INVESTIGATION
  • COURT OF LAW
  • SCIENCE
  • EDUCATION
  • HEALTH
  • ACCIDENT
  • WEATHER
  • ENTERTAINMENT
  • OTHER
  • INTERNATIONAL
  • Home
  • NATIONAL
  • “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রণয়ন কর প্রসঙ্গে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ এর সংবাদ সম্মেলন
  • NATIONAL

“অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রণয়ন কর প্রসঙ্গে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ এর সংবাদ সম্মেলন

MD SOJIBUR RAHMAN [NAIK] MD SOJIBUR RAHMAN [NAIK] 28/05/2025
Beige minimalist photo collage (1)

জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ২৮ মে,২০২৫ ইং, রোজ- বুধবার, “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রণয়ন কর। প্রসঙ্গে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ এর আয়োজনে

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন  “অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ”।

২৮ মে, ২০২৫ ইং বুধবার, অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রণয়ন ও অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’র সংগঠক, নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে-অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র এবং আইন উপদেষ্টা বরাবরে “স্মারকলিপি” প্রদান উপলক্ষে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ সংবিধানের ৭(১) আওতায় সিভিল রাইটস্ (নাগরিক অধিকার) আদায়ের সংগঠন। আপনারা জানেন স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই সর্বস্তরে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে কুরে কুরে খাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকেই, ভ্যাট, ট্যাক্স, চার্জ, ফি, ডিউটি, ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আদায় করা অর্থ, একটি দুর্নীতিবাজ লুটেরাগোষ্ঠী আত্মস্থাত করছে এবং আত্মস্বাতকৃত অর্থের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে ও দেশের মাঝে পুঞ্জিভূত রাখছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্বৃত্তদের ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নের অপরাজনৈতিক, সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা বিদ্যমান থাকায় রাষ্ট্রের মালিক জনগণের কাঙ্খিত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে ‘দুর্নীতিকেই’ প্রধান বাঁধা হিসেবে গণ্য করছে সকল শ্রেণিপেশার নাগরিক সাধারণেরা। রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থার প্রধান সমস্যা “দুর্নীতি”, এ বিবেচনা থেকেই “অহিংস গণঅভ্যূত্থান বাংলাদেশ” সিভিল রাইটস (নাগরিক অধিকার) সংগঠন অহিংস নীতিতে শান্তিপূর্ণ সাংবিধানিক পন্থায় দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন’ প্রণয়ন, আইনটি আতীয় সংসদে উপস্থাপন করানোর লক্ষ্য ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে ২০২১ সাল থেকে সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের নানা বৈষম্যের শিকার, শোষিত, বঞ্চিত, নিপিড়ীত জনগোষ্ঠিকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কে আত্মস্বচেতন ও উদ্বুদ্ধ করণ এবং আইনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনকারীদের অনুস্বাক্ষর সংগ্রহ করার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, দেশের ১৮ কোটি মানুষের মাঝ থেকে শতকরা দশ ভাগ অর্থাৎ এক কোটি আশি লাখ মানুষের আইনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনকারীদের অনুস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীন জাতীয় সংস্থা গঠন, গঠিতব্য জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে, বিদেশে পাচারকৃত এবং দেশের মাঝে পুঞ্জিভূত থাকা অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে রাষ্ট্রের মালিক জনগণের অর্থ তাদেরকে পুঁজি হিসেবে ফেরত প্রদানে তৃণমূল পর্যায়ের গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির এই স্বপ্ন যিনি দেখিয়েছিলেন তিনি হলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আইনজীবি এড, আ ব ম মোস্তাফা আমীন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ২০ (২) অনুচ্ছেদে কোন ব্যক্তিকে অনুপার্জিত অর্থ ভোগ করতে না দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে এবং ১৪ অনুচ্ছেদে মেহনতি মানুষ তথা কৃষক ও শ্রমিকসহ অনঅগ্রসর অংশকে সকল প্রকার শোষণ থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, বিগত ৫৩ বছর ধরে শাসকগোষ্ঠি সাংবিধানিক অঙ্গীকার ভঙ্গ করে জনগণ থেকে আদায় করা অর্থ তৃণমূলে জনগণের সার্বিক কল্যাণে ব্যবহৃত না করে লুটপাট ও বিদেশে পাচার ও দেশের মাঝে পুঞ্জিভূত করায় জনগণ পুঁজিশূণ্য হয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে উন্নত জীবন যাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খাদ্যপণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমাজে ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে দেশের শাসন ব্যবস্থায় দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা অপরদিকে দশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) এর নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় জনগণের কষ্টার্জীত রক্তঘামে তৈরী অর্থ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অকার্যকর কর্মধারা দেশবাসীকে হতবাক করেছে।

অহিংস গণঅভ্যুতাথান বাংলাদেশ যখন প্রস্তাবিত আইনের রূপ রেখা তৈরীসহ আইন প্রণয়নের যৌক্তিকতা বিষয়ে জনগণকে আত্মস্বচেতন উদ্বুদ্ধ করণের শেষ পর্যায়ে ঠিক সে সময়ে ঘটে যায় ২০২৪ ইং সালে জুলাই আগষ্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও পলায়ন, ৮ আগষ্ট, ২০২৪ ইং প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস সাহেবকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন পরবর্তী সরকারের দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণার পর গত ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ ইং “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” শিরোনামে প্রশ্নবিত দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইনের রূপরেখা অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে প্রণয়নের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস সাহেবের বরাবরে জমা দেয়া হয়। সে সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আইনের প্রতি ব্যাপক গণমানুষের সমর্থন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সে মতে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করি। এবং পরবর্তীতে গত ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে আইনের প্রতি ব্যাপক গণমানুষের সমর্থন প্রদর্শন করার লক্ষ্যে ঢাকার শাহবাগে সমাবেশ আহ্বান করা হয়। ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এছারা বেশ কিছুদিন আগেই সমাবেশটি আহ্বান করা হয়েছিল।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য এই যে, আহুত সমাবেশে গ্রামের সাধারণ শ্রমজীবি নারীপুরুষ উপস্থিত হলে তাদের উপর হামলা মারপিট করে সমাবেশ পণ্ড করে দেয়া হয়। এরপর সংগঠনের নেতাকর্মিদের ওপর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ১৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিগত সরকারের সময় দায়ের করা হয়েছিল ৩টি মামলা। মামলায় সংগঠক নেতা কর্মীসহ শতাধিক নিরীহ নারীপুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের অনেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন, অনেকে জেল হাজতে রয়েছেন, অনেকে পালিয়ে ফিরছেন।

এক্ষণে সরকার দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের উদেয়গ গ্রহন করেছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত খবরে আমরা জানতে পেরেছি। ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” নামক প্রভাবিত আইনের বিশেষত্ব ছিল, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার একটি স্বাধীন জাতীয় সংস্থা গঠন করবে। আইনের দ্বারা গঠিতব্য জাতীয় সংস্থা বিদেশে পাচারকৃত ও দেশের মাঝে পুজিভূত অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে রাষ্ট্রের মালিক পুঁজিহীন তৃণমূল পর্যায়ের কৃষক, শ্রমিক হকার বেকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিনা সুদে, বিনা জামানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ঋণ হিসেবে পুঁজি প্রদান করবে। সরকার দুর্নীতি বিরোধী যে আইনটি প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন, সে আইনটি যেন শোষিত বঞ্চিত নিপিড়ীত মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে সেটাই কাম্য।

“অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রণয়ন ও অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’র সংগঠক নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়ে স্বারকলিপি প্রদান এবং জনস্বার্থে প্রকৃত সত্য খবর প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন মিডিয়ায় তুলে ধরার জন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রত্যাশী- বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল-বাশার সদস্য সচিব ও মুখপাত্র ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’

দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আইন) “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা”

প্রস্তাবিত আইনের খসড়া

উদ্দেশ্য

যেহেতু অবৈধ ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করে পুঁজিহীন ও স্বল্প পুঁজির উদ্যোক্তা, উৎপাদক, ব্যবসায়ীদের বিনা সুদে, বিনা জামানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য পুঁজির যোগান দিয়ে উৎপাদন ও সেবা খাতের সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান, আয় বৈষম্যের অবসান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সমীচীন। এবং যেহেতু, স্বাধীনতার পর থেকেই, ভ্যাট, ট্যাক্স, চার্জ, ফি, ডিউটি, ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আদায় করা অর্থ, একটি দুর্নীতিবাজ লুটেরাগোষ্ঠী আত্মসাত করছে এবং আত্মসাতকৃত অর্থের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে। এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ (১) অনুচ্ছেদে জনগণকে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের মালিক ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০ (২) অনুচ্ছেদে কোন ব্যক্তিকে অনুপার্জিত অর্থ ভোগ করতে না দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

এবং যেহেতু, জনগণ থেকে আদায় করা অর্থ তৃণমূলে জনগণের সার্বিক কল্যাণে ব্যবহৃত না হয়ে লুটপাট ও পাচার হওয়ায় জনগণ পুঁজিশূণ্য হয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে উন্নততর জীবনযাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে মেহেনতি মানুষ তথা কৃষক ও শ্রমিকসহ অনগ্রসর অংশকে সকল প্রকার শোষণ থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। এবং যেহেতু, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় রচিত সংবিধানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার করে জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য জনগণকে পুঁজির যোগান দেয়া আবশ্যক; এবং যেহেতু অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা নামে একটি সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন, সেহেতু এতদ্ধারা নিম্নরূপ আইন প্রণয়ন করা হইলঃ-

প্রারম্ভিক

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন- (১) এই আইন “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” আইন নামে অভিহিত হইবে।

(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। অন্য আইনে যাই কিছু থাকুকনা কেন, প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এই আইনের সাথে কোন বিষয়ে ভিন্নতা দেখা দিলে অত্র আইন প্রধান্য লাভ করিবে।

৩। সংজ্ঞা- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে—

(১) ‘সংস্থা’ বলিতে অত্র আইনের অধীনে গঠিত অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখি বিনিয়োগ সংস্থা বুঝাইবে।

(২) ‘পুঁজি’ বলিতে ভ্যাট, ট্যাক্স, চার্জ, ফি, ডিউটি ইত্যাদি দ্বারা আদায়কৃত অর্থ যাহা জনগনকে প্রদান করা হইবে তাহা বুঝাইবে।

(৩) ‘কমিটি’ বলিতে অত্র আইনের অধীনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গঠিত কমিটি বুঝাইবে।

(৪) ‘উদ্ধার’ বলিতে লুটেরা ধনিকদের নিকট হইতে আদায় বুঝাইবে।

(৫) ‘উদ্যোক্তা’ এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণকারি সংগঠন “অহিংস গণ অভ্যুত্থান বাংলাদেশ” বুঝাইবে।

৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরনের জন্য-

(ক) বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি থাকিবে যাহা ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ নামে অভিহিত হইবে।

(খ) মৃত্যু, পদত্যাগ, পদচ্যুতি, স্বাস্থ্যগত বা অন্য কোন কারণে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কোন পদ শূণ্য হলে সংশ্লিষ্ট শ্রেণি-পেশা থেকে সদস্য নিয়ে শূণ্যপদ পুরণ করবে: এতদুদ্দেশ্যে সংস্থা ৫ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটি গঠন করিয়া রাখিবে।

(গ) সদস্যগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজন প্রধান সমন্বয়ক এবং একজন সদস্য সচিব নির্বাচন করবেন। অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ প্রথম মেয়াদের জন্য সমন্বয়ক ও সদস্য সচিব নির্বাচন করবে। মেয়াদ হবে ১ বছর। দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে সদস্যগণ নিজেদের মধ্য হতে একজন সদস্যকে ২ (দুই) বছর মেয়াদের জন্য “প্রধান সমন্বয়ক” নির্বাচিত করবেন। প্রধান সমন্বয়ক একজন সদস্যকে, অন্যান্য সদস্যদের অনুমোদন সাপেক্ষে “সদস্য সচিব” হিসাবে নিয়োগ দিবেন।

(ঘ) কোন কারণে প্রধান সমন্বয়ক বা সদস্য সচিবের পদ শূণ্য হইলে সদস্যগণ নিজেদের

মধ্য হইতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী শূণ্য পদ পুরণ করিতে পারিবেন।

৫। উপকমিটি ক) তথ্য সংগ্রহ-বিদেশ (কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া প্রভৃতি) খ) তথ্য সংগ্রহ-বাংলাদেশ গ) অর্থ উদ্ধার-বিদেশ ঘ) অর্থ উদ্ধার -বাংলাদেশ ঙ) পুঁজি প্রদান কার্যক্রম চ) প্রশিক্ষণ (পুঁজি গ্রহীতা, সংগঠক) ছ) পুঁজি গ্রহীতাদের কারিগরি, ব্যবস্থাপনা সহায়তা জ) সংগঠকদের সম্মানি প্রদান ঞ) নৈতিকতা ও শৃংখলা ট) আইন ও বিচার ঠ) গণশুনানি কমিটি থাকিতে পারিবে।

প্রতিটি উপকমিটি হইবে কমপক্ষে ৩ ও সর্বোচ্চ ৭ সদস্য বিশিষ্ট। এক ব্যক্তি সর্বাধিক দুই উপকমিটির সদস্য থাকিতে পারিবেন।

কোন সদস্য প্রধান সমন্বয়কের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পর পর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে সদস্য পদ হারাইবেন।

৬। কর্ম পরিধি

(ক) সংগঠক বিদেশ অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা, সম্পদের তথ্যাবলী সংগ্রহ করিবেন, সামাজিক আন্দোলন সংগঠিত করবে, অর্থ উদ্ধার ও বাংলাদেশে প্রেরণের

বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করিবেন। গণশুনানী কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করিবেন।

(খ) সংগঠক-বাংলাদেশ-জনগনের নিকট হইতে পুঁজির আবেদন সংগ্রহ করিবেন, নিজেরা প্রশিক্ষণ নিবেন, পুঁজি গ্রহীতাদের প্রশিক্ষণ, পুঁজি প্রদান, পণ্য ও সেবা সংগ্রহ, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা তদারকি, কিস্তি আদায়ে সহযোগিতা করবে। দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ অর্থের তথ্যাবলী সংগ্রহ করিবেন, এসব অর্থ উদ্ধারের বিষয়ে জনমত সৃষ্টিসহ অন্যান্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন। গণশুনানী কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করিবেন।

(গ) পুঁজি প্রদান কার্যক্রম পুঁজি গ্রহীতাকে, যে সকল ক্ষেত্রে সম্ভব, নগদ অর্থ প্রদান না করে পণ্য ও সেবা সরবরাহকারীকে অর্থ প্রদান করা হবে। পুঁজি প্রদান পর্যায়ে প্রতি ঋণের বিপরীতে সংস্থা নিজস্ব তহবিল হইতে সংগঠকদের আর্থিক সম্মানী প্রদান করিবে।

(ঘ) সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বোচ্চ কৃচ্ছতার নীতি অনুসরণ করিতে হইবে। সদস্যগণ যাতায়াত, পোস্টাল, হোটেল খরচ ছাড়া কোন বেতন ভাতা গ্রহণ করিবেন না। (ঙ) ‘সংস্থা’ চাকুরী

বিধি প্রণয়ন করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দান করিতে পারিবে, তবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে প্রেষণে গ্রহণ করিবেনা। কোন সদস্যের কোন নিকট আত্মীয় যথা- ভাই, বোন, চাচা, মামা, ফুফু, খালা, স্ত্রীর আত্মীয় এবং তাদের নিকট আত্মীয়কে সংস্থায় নিয়োগ দেয়া যাইবেনা এবং তারা কোন পণ্য সেবা সরবরাহ করিতে পারিবেনা।

(চ) ‘সংস্থা’ আইনজীবী, হিসাব রক্ষক, হিসাব পরীক্ষক, বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক নিয়োগ দিবে।

(ছ) ‘সংস্থা’র পক্ষ হইতে অনুরোধ পাওয়ার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকার সংস্থাকর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি/জেলা জজের নেতৃত্বে প্রার্থিত সংখ্যক আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টে আলাদা বেঞ্চ গঠন করিবে।

৭। আইনের পরিধি: কর্তব্যরত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ছাড়া দেশে বিদেশে অবস্থানকারী (অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও) পদ, পদবী, অবস্থান, মর্যাদা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিক এই আইনের আওতাভুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবেন।

৮। পুঁজি প্রদানের খাতসমূহ: ১) কৃষি: টিউবওয়েল, সেচ পাম্প, বিদ্যুৎ সংযোগ, জেনারেটর, ট্রাক্টর, টিলারসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, কাঁচা-পাকা-ক্যানেল নির্মাণ, সার, বীজ, কীটনাশক, খাদ্যগুদাম, বীজ সংরক্ষণ, কৃষক পর্যায়ে শস্য মজুদ, শ্রমিকের মজুরি।

২) হাঁস মুরগী পাখী গবাদিপশু পালন; ক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, খাদ্য, পরিচর্যা, বিপণন। ৩) মৎস্য পালন: নদনদী, খালবিল, নালা, জলাশয়, পুকুর খনন, সংস্কার, অবকাঠামো নির্মাণ, পোনা, খাদ্য, সরঞ্জাম ক্রয়, বিপণন। হ্যাচারী গড়ে তোলা।

৪) বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপরোক্ত গ্রামীণ খাতগুলিতে সরবরাহ করার জন্য ট্রাক্টর, টিলার, পিকআপ, ভ্যানসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়।

৫) বৃক্ষরোপণ: নার্সারি গড়ে তোলা, চারা গাছ ক্রয়, বীজ, সার সংগ্রহ, সেচ, ভূমি লিজ নেয়া, শ্রমিক নিয়োগ, প্রদর্শনী।

৬) পরিবহন: ট্রাক, বাস, পিকআপ, মাইক্রোবাস, কার, সিএনজি ক্রয়।

৭) কুটির শিল্প:- বেত, বাঁশ, কাঠ, ধাতব দ্রব্য নির্মিত আসবাবপত্র, খেলনা প্রস্তুত ও বিপণন।

৮) ক্ষুদ্র মাঝারি কারখানা স্থাপন, সংস্কার, সম্প্রসারণ।

৯) ছাত্রছাত্রী (শিক্ষা)

১০) শ্রমিক (বিদেশ যাত্রা)

১১) সেবামূলক কার্যক্রম: তথ্য প্রযুক্তি, খাবারের দোকান, পোশাকের দোকান, পার্লার, মুদি, ফলের দোকান, লন্ড্রি।

৮। অগ্রাধিকার: কৃষক, নারী (বিশেষ করে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা), নৃগোষ্ঠী, হরিজন, অনুন্নত অঞ্চলের মানুষ, আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ পুঁজি লাভে অগ্রাধিকার পাইবেন। ৯। যেহেতু উদ্ধারকৃত অর্থ জনগণের অর্থ সেহেতু পুঁজি হবে সুদমুক্ত।

১০। শাস্তি: (ক) কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অবৈধভাবে অর্জিত সমূদয় অর্থ, সম্পদের হিসাব প্রদান করে সংস্থা’র ব্যাংক হিসাবে জমা দিলে তাকে বিচার ও শান্তির আওতায় আনা হইবেনা। অন্যদের ক্ষেত্রে শান্তি হবে আমৃত্যু কারাবরণসহ সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সংস্থার অনুকূলে স্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করণ।

(খ) সংস্থা’র কোন সদস্য, কর্মকর্তা কর্মচারী, নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, সম্পৃক্ত ব্যক্তি এবং সংগঠকদের দুর্নীতি, অসদাচারণ প্রমানিত হলে তাদের শাস্তিও হবে আমৃত্যু কারাবরণ এবং ‘সংস্থা’র অনুকূলে সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করণ।

(গ) “সংস্থা” যে ব্যক্তির বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতি, অর্থ পাচার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করবে সে ব্যক্তির বিষয়ে “দুর্নীতি দমন কমিশন” ও অন্য কোন সংস্থায় গৃহীত কার্যক্রম স্থগিত হইবে এবং সমূদয় কাগজপত্র, আলামত “সংস্থা’র” কার্যালয়ে, অনুরোধ পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে গৃহীত কার্যক্রমের বিস্তারিত বর্ণনাসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।

(ঘ) “সংস্থা” তফসিলী ব্যাংকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হিসাব খোলা ও অর্থ লেনদেন করিতে পারিবে। উদ্ধারকৃত অর্থ হইতে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে ব্যয় করিতে পারিবে।

(ঙ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সংস্থা’র তহবিলে ১০০ (একশত) কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রদান করিবে।

(চ) প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী ‘সংস্থা’র কাজে সহযোগিতা করিবে এবং অন্যথা হইলে তাহা অসদাচরণ হিসাবে বিবেচিত হয়ে বিচারের আত্ততায় আসবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তা সমভাবে কার্যকর হবে। এ ক্ষেত্রে ৩ (তিন) বছরের কারাদন্ড ও অনুর্ধ্ব ১০ (লক্ষ) টাকা জরিমানা ও উভয় দন্ড দেয়া যাবে।

১১। গণশুনানী: “সংস্থা” বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মন্দির, মসজিদ, প্যাগোডা, গীর্জায় কর্মরত ব্যাক্তি, কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক, বেসামরিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সমাজসেবক, মানবাধিকার কর্মী সমন্বয় ২১ সদস্যবিশিষ্ট “গণশুনানী

কমিটি” গঠন করিবে। উক্ত কমিটি দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করিবে এবং মাঠ পর্যায়ে শুনানীর ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হইলে উদ্ধার হওয়া অর্থের শতকরা একভাগ পুরষ্কার হিসেবে অভিযোগকারী/কারিদেরকে প্রদান করা হইবে। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হইলে অভিযোগকারী/কারিদেরকে তিন বছর সশ্রম কারদন্ড দেওয়া যাইবে। বিদেশে ও বিভিন্ন অঞ্চলে “সংস্থা” গণশুনানী কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে জমায়েত হয়ে আইনের কপি জাতীয় সংসদে জমা দেওয়া হবে।

আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীন, আহ্বায়ক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত এবং তবারক হোসেন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক পরিমার্জিত। প্রচারে: বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, মুখপাত্র,

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবরে

“স্মারকলিপি”

তারিখ-২৮ মে, ২০২৫ খ্রীঃ

বিষয়-অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা গঠনে আইন প্রণয়ন ও অহিংস গণঅযাখান বাংলাদেশার সংগঠক ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন।

জনাব, এইমর্মে আপনার অবগোতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামক সিভিল রাইটস (নাগরিক অধিকার) সংগঠন বিদেশে পাচারকৃত ও দেশের মাঝে পুঞ্জিভুত থাকা অবৈধ অর্থ উদ্ধার করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে অহিংস নীতিতে শান্তিপূর্ণ সাংবিধানিক পন্থায় “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” শিরোনামে দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য ২০২১ সাল থেকে কাজ করে আসছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের কাছে থেকে আইনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনকারীদের অনুস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। ২০২৪ খ্রী: জুলাই আগষ্ট এ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণার পর গত ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ ইং “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’

শিরোনামে প্রস্তাবিত দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইনের রূপরেখা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস সাহেবের বরাবরে জমা দেয়া হয়। সে সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আইনের প্রতি ব্যাপক গণমানুষের সমর্থন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সে মতে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করি। এবং পরবর্তীতে গত ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে আইনের প্রতি ব্যাপক গণমানুষের সমর্থন প্রদর্শন করার লক্ষ্যে ঢাকার শাহবাগে সমাবেশ আহ্বান করি। অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এছারা বেশ কিছুদিন আগেই সমাবেশটি আহ্বান করা হয়েছিল।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য এই যে, আহুত সমাবেশে গ্রামের সাধারণ শ্রমজীবি নারীপুরুষ উপস্থিত হলে তাদের উপর হামলা মারপিট করে সমাবেশ পন্ড করে দেয়া হয়। এরপর সংগঠনের নেতা কর্মীদের ওপর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ১৮ টি দায়ের করা হয়। বিগত সরৈাচারী সরকারের আমলে ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এক্ষণে সরকার দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত খবরে আমরা জানতে পেরেছি। ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” নামক প্রস্তাবিত আইনের বিশেষত্ব ছিল, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার একটি স্বাধীন জাতীয় সংস্থা গঠন করবে। আইনের দ্বারা গঠিতব্য জাতীয় সংস্থা বিদেশে পাচারকৃত ও দেশের মাঝে পুঞ্জিভুত অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে রাষ্ট্রের মালিক পুঁজিহীন তৃণমূল পর্যায়ের কৃষক, শ্রমিক, হকার, বেকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিনা সুদে, বিনা জামানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ঋণ হিসেবে পুঁজি প্রদান করবে। সরকার দুর্নীতি বিরোধী যে আইনটি প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন, সে আইনটি যেন তৃণমূল পর্যায়ের শোষিত, বঞ্চিত নিপিড়ীত পুঁজিহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদেরকে পুঁজি প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয় সেটাই কাম্য।

অতএব “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা গঠনে আইন প্রণয়ন ও অহিংস গণঅভ্যূত্থান বাংলাদেশর সংগঠক নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানাচ্ছি।

বিনীতঃ- বীর মুক্তিযোদ্ধা দেয় আবুল বাশার

সদস্য সচিব মুখপাত্র

“অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ”

সংযুক্তিঃ-মামলার তালিকা (এক পাতা)

দায়েরকৃত মামলা সুমহ

১। কুড়িগ্রাম রাজারহাট খানার মামলা নং- ০২, জি আর মামলা নং- ১২৬/২৪, তারিখ-৩৪-১১-২৪ইং। ধারা ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩),২৫ (খ)। অভিযুক্ত-৩ জন।

২। ঢাকার শাহবাগ থানায় মামলা নয়- এর, তারিখ-২৫/১১/২৪ ইং খার৫-১২০৭/১/০৩/১০৭/১৪৮//৩০২/৩০৩/৪২৭/১০৯/১১ পেনালকোড-১৮৬০। অভিযুক্ত- ১৯ জন।

৩ । ঢাকার পল্টন থানার মামলা নং- ২৭, তারিখ-২৫/১১/২০২০ ইং ধারা- ৩০৬/৩২০ পেনাল কোড- ১৮৬০। অভিযুক্ত- ৭জন।

৪। ঢাকার আসানটেক খালার মামলাসং-১০, তারিখ-২৬/১১/২০২৪ইং। খারা-১৭০/৭/১০০/১০৭/১০৮/১৮৬/০০২/০৫০/৪২৭/১০৮/১১৪ পেনালকোয়-১৮৬০। অভিযুক্ত-৫।

৫। ঢাকার সাভার থানার মামলা নং- ৬০, তারিখ- ০০/১১/২০২৪ ইং। ১৯৭৪ সানের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা। অভিযুক্ত-৫

৬। নারায়নগঞ্জের সোনারগাও থানার মামলা নং- ৪৪, তারিখ- ২৭/১১/২৪ ইং। ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০/ অভিযুক্ত- ১৬

৭। গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানার মামলা নং- ৩৭, তারিখ- ২৬/১১/২০২৪ ইং, ধারা-১২০ বি/১৪০/১৪৭//১৫৯/১০৯ পেনাল কোড- ১৮৬৯। অভিযুক্ত-১০ জন।

৮ ৯। । গাজিপুরের গাছা থানার মামলা নং- ১৬, তারিখ-১৬/১১/২০২৪ ইং। ধারা- ৪০৬/৪২০/৪১১ পেনাল ১৮৬০। অভিযুক্ত- ৪ জন।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার মামলা নং- ২৯, তারিখ-২৬/১১/২০২৪ ইং, ১৯৭৪ সালের বিশেষ

ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ডি ধারা।

অভিযুক্ত- ১০ জন।

১০। লক্ষীপুর মডেল থানার মামলা নং- ৬৭, তারিখ-২৫/১১/২০২৪ ইং। ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০। অভিযুক্ত-১৭ জন ১১। লক্ষীপুর রামগতি থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-২৫/১১/২০২৪ ইং, ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০। রামগতি- ৫ জন।

১২। কিশোরগঞ্জ সদর থানার মামলা নং- ৩৯, তারিখ-২৫/১১/২০২৪ ইং, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮-৬০। অভিযুক্ত-১৪ জন। ১৩। কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর থানার মামলা নং- ১৯, তারিখ-২৯/১১/২০২৪ ইং, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০। অভিযুক্ত- ৬ জন

১৪। নেত্রকোনার কলমাকান্দা খানার মামলা নং- ২৪, তারিখ- ২৪/১১/২০২৪ ইং, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা। অভিযুক্ত-২০ জন।

১৫। মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার মামলা নং-৯, তারিখ-২৩/১১/২০২৪ ইং, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ডি ধারা। অভিযুক্ত- ১২ জন।

১৬। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার মামলা নং- ৫৮, তারিখ-২৭/১১/২০২৪ ইং, ধারা-৪০৬/৪২০ পেনাল কোড-১৮৬০। অভিযুক্ত- ৫ জন।

১৭। ঢাকার দোহার থানার মামলা নং-১৩, তারিখ-২৭/১১/২০২৪ ইং, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ডি ধারা। অভিযুক্ত- ৬ জন।

১৮। মাগুরা সদর থানার মামলানং- ৪২ তারিখ-২৫/১১/২৪ ইং ধারা-৪০৬/৪২০। অভিযুক্ত-৫ জন।

বিগত সরকারের আমলে দায়েরকৃত মামলাঃ-

১৯। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং-৩৩ জি আর মামলা নং-৩৮৯/২২, তারিখ- ২৪/১২/২০২২ ইং ধারা- ৪০৬/৪২৭। অভিযুক্ত-

১ জন।

২০। রংপুর, পীরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-০৮/০৫/২৯২৩ ইং জিআর নং-২০৩/২৩ মায়া-৪০৬/৪২০। অভিযুক্ত-৬ জন।

২১। নীলফামারী থানার মামলা নং-০৫, তারিখ- ০৬/০৫/২০২৪ ইং, জি আর মামলা নং-১৩৮, যারা- ৪০৬/৪১৭/৪২০/৩৪ পেনালকোড। অভিযুক্ত- ৮ জন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল বাশার

মুখপাত্র

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

২৮ মে,২০২৫ ইং।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

৪ এপ্রিল ২০২০

‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনটির ২৫ শে নভেম্বর শাহবাগ সমাবেশকে ঘিরে সরকার, মিডিয়া ও ছাত্র-জনতার মাঝে উদ্‌ভূত বিভ্রান্তিকর অবস্থানের প্রেক্ষিতে সংগঠনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ সকাল ১০টায় শাহবাসে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ সংগঠনটি

তাদের প্রভাবিত অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ- শীর্ষক একটি অভিনব ও যুগান্তকারী বিশেষ আইন পাশের দাবীতে সমাবেশ আয়োজন করতে চেয়েছিলোন কিন্তু সমাবেশের যৌক্তিকতা পারঙ্গম করতে না পারায় সরকার, মিডিয়া ও মিডিয়াতে সঠিক প্রচারণা না হবার কারণে জনমনে ভ্রান্ত ধারণার জন্ম নেয় এবং শেষ মুহূর্তে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় জনগুরুরপূর্ণ আয়োজনটি দলগুল হয়ে যাছ। মিডিয়াতে ব্যাপক ও অনুসারীদের অনেকে পথিমধ্যে যামলা, সাথে থাকা মোবাইল, অর্থ ছিনিয়ে নেয়া, চাঁদারাত্রি এমনকি আমলা, জেল গড়ুলুমের শিকার হন।

কিন্তু কি ছিল অহিংস্যের এ সমাবেশের উদ্দেশ্য ও যোক্তিকতা। সংগঠনটিই বা কিসের? কি আছে অধিংসের করা আমান খসড়ায় যার জন্য তারা কিনা দেশের ১ কোটি ৮০ লক্ষের অনুস্বাক্ষর পর্যন্ত নিয়েছিল। সমাবেশের দিন সংগঠনটির উপর পুলিশ, মিডিয়া, ছাত্র জনতা সব চড়াও হলেও আসন সত্যতাটা কি প্রকাশ পেয়েছিল। আদতে ষড়যন্ত ছিল কিনা নবগঠিত ঘুরে-জনতার সরকারের বিরুদ্ধে? এর দুই দিন পরে তবে কেনইবা সংগঠনটির পক্ষে বিবৃতি দেন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবীদ জুনায়েদ সাকিসহ দেশের ২০ বান বিশিষ্ট নাগরিক (সমকাল ২৭ নভেম্বর) এবং অনলাইনেও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্জিসহ আরও অনেক প্রাজ্ঞ জনেরা দাঁড়ান অহিংসের পক্ষে?

সেদিনকার অহিংস সংগঠনের প্রতি অবিবেচনাপ্রসূত, অসম্মানজনক, বিভ্রান্তিকর সংবাদের বিপরীতে দেশের জনগণের সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরা উচিত বলে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুবাক্ষরকারীদের পক্ষ থেকে আমরা মনে করি। ঐদিনই সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সকল ব্যক্তিবর্গ ও এলাকা ভিত্তিক দেশব্যাপী হাজারো সংগঠক ও অনুযাক্ষরকারীদের উপর মামলা, হামলা ও জেল জুলুম হবার কারণে প্রায় চার মাস সময় পার হয়ে গেলেও দেরিতে হলেও দেশবাসীর জেনা আইসে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ উপস্থাপনা,

১) অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ ও তাদের কার্যক্রম:

পটভূমি: রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত বাংলাদেশের সংবিধানের ৭/১) অনুচ্ছেদে জনগণকে দেশের মানিক ঘোষণা করে মানিকদের সম্মানজনক জীবন, জীবিকা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হলেও ৫৩ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লুটেরা শাসকগোষ্ঠী সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে শুধু চরমভাবে ব্যর্থই হয়নি বরং খেটে খাওয়া গরীব মানুষ, নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষদের বেঁচে থাকা কঠিন করে তুলেছে। একদিকে কিছু দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর, চাঁদাবাজে, ব্যাংক শেয়ার মার্কেট লুটেরারা দেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে, বিদেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করছে, অপরদিকে আমাদের অধিকাংশ জনগণ কর্ম ব্যবসা করে দারিদ্রতা থেকে উঠে আসতে পারছে না, কারণ তাদের পর্যাপ্ত পুঁজির অভাব।

দারিদ্র্যতা মানুষকে তাদের ভাগ্যের উপর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থেকেও বঞ্চিত করে, এটি মানবাধিকারের চূড়ান্ত অস্বীকার। স্বীকৃত মানবাধিকারগুলো হল খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা। একটি সমাজের মোলিক দায়িত্ব হল এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা যাতে সকল মানুষের জন্য এ অধিকারগুলো নিশ্চিৎ হয়। অথচ বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যাকে উপেক্ষা করে। তাই আমি মনে করি যে, ঋণ প্রাপ্তির অধিকার মানুষের অধিকারের তালিকায় সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা উচিত। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস

অধুনা গঠিত ‘অর্থনীতি নিয়ে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদনে, গত ১৫ বছরে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধামে ও ব্যাংক খালি করে দিয়ে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ২৮ লক্ষ কোটি টাকা এবং দেশে অবৈধ

সম্পদ পুঞ্জিভূত আছে ৯৮ লক্ষ কোটি টাকা পরিমানের যা দেশের অন্তস্তরে সাধারণ মানুষের জন্য পুঁজির সংকট সৃষ্টি করেছে।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

এ পটভূমিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত প্রবীণ রাজনীতিবীদ আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীন ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামে সামাজিক অধিকার আন্দোলন শুরু করেন ২০২১ সাল থেকে, ওনারই রাজনৈতিক শক্তি ফরওয়ার্ড পার্টির সমান্তরাল একটি দুর্নীতি বিরোধী প্লাটফর্ম ও তৃণমূলের অর্থনৈতিক কর্মসূচী হিসেবে।

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে, মোস্তফা আমীন সর্বদা দেশের আনাচে কানাচে সমাজের বিভিন্ন স্থরের মানুষের সাথে কথা বলে আসছেন। তিনি অনুধাবন করেন, একদিকে কিছু মানুষের সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আর সম্পদের পাহাড়, অপরদিকে পুঁজির জন্য ঋণ না পেয়ে কিংবা কিস্তি বা চড়া সুদের বেড়াজালে আটকে পরে দরিদ্রই থেকে যাওয়া তৃণমূলের খেটে খাওয়া বিশান জনগোষ্ঠী, রাষ্ট্র ব্যাবস্থার আয়োজনে ও আলোচনায় যারা অদ্ভুত মিসিং ক্লাস। এ চরম অন্যায় বৈপরীত্ব ও বৈষমাকে সমাজের অন্যতম মূল আদি রোগ হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন। ঐকাবদ্ধ জনগণের ক্ষমতা অপরিসীম। সংগঠিত যেনভার মেয় অবধারিত এ নীতির উপর ভিত্তি করে তিনি সংকল্প করেন অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ সংগঠনের মাধ্যমে তৃণমূলের এ যেটে যাওয়া মেহনতি মানুষদেরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার করবেন এবং দুর্নীতির টাকায় যে তাদের ভ্যাট ট্যাক্সের অংশ রয়েছে তা তাদের বোঝাবেন এবং তাদেরকে এর দাবীদার করে তুলবেন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সম্মিলত শক্তিকে সমাজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সম্মুখ শক্তি হিসেবে দাঁড় করানো গেলে, দুর্ণীতিগ্রস্থের এতদিনকার পুঞ্জীভূত অর্থ এর মূল মালিক তথা জনগণকে ফেরত দিতে পারনে একটি ন্যায় (distributive justice) ও সমতা ভিত্তিক টেকসই আর্থ-সামাজিক নায়া ব্যাবস্থার গোড়াপত্তন হতে পারে।

এ লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা আইনজীবীদের সমন্বয়ে “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ আতীয় সংস্থা’ শীর্ষক একটি আইনের খসড়া প্রনয়ণ করা হয় এবং অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনটির মাধ্যমে এই আইনের সমর্থনে তৃণমূলে বৃহত্তর জেনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করতে বৃহৎ আকারে অনুস্বাক্ষর কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। ফলশ্রুতিতে গাত ও বছর যাবৎ সংগঠনটি দেশব্যাপী প্রায় ৪০ জেলা থেকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুবাক্ষর গ্রহণ করেছে ছোট বড় ৭ হাজারের অধিক সংগঠকের মাধ্যমে। সংগঠনটির মাধ্যমে ছোট বড় সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক হয়েছে হাজারের উপর। সমাবেশ, উঠোন বৈঠকের সমস্ত ব্যয়ভার স্থানীয় পর্যায়ে স্বপ্রনোদিত চাঁদার মাধ্যমে মিটানো হয়ে থাকে ও যাতায়াত খরচ বাক্তি নিজে বহন করেন।

২) অহিংসের প্রস্তাবিত “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ বিশেষ আইন ও এর বিশেষ দিকগুলো:

আইনটি মূলত অবৈধ ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করে পুঁজিহীন ও স্বল্প পুঁজির উদ্যোক্তা, উৎপাদক, ব্যবসায়ীদের বিনা সুদে, বিনা আমানতে সহজ কিস্তিতে পরিশোষযোগ্য পুঁজি নিয়ে উৎপাদন ও সেবা যাতের সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের যোগান ও আয়বৈষম্যের অবসান করে একটি ন্যায় ও ন্যাযাতা ভিত্তিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যে কর।

আইনের বিবরণে কেন্দ্রীয়ভাবে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি ২১ সদস্যের অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ নামের রাষ্ট্রীয় সংস্থা, ৩-৭ সদস্য বিশিষ্ট বিভিন্ন দায়িত্বের ১২টি উপকমিটি, আইনের পরিধি হিসেবে রাষ্ট্রপতি থেকে দেশের সকল জনগন, পুঁজির খাত হিসেবে ১২টি খাত, সর্বোচ্চ শাস্তি বিধান আমৃত্যু কারাবাস, দেশের প্রতিটি উপজেলায় সর্বস্থরের জনগন নিয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট গণশুনানি কমিটির কথা বলা হয়েছে।

এই আইনের মধ্যে বেশ কিছু অভিনব ধারণার কথা বলা হয়েছে যা মূলত দুভাবে সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন তথা বিপ্লব তথা গণঅভ্যুত্থান এর সূত্রপাত করতে পারে,

প্রথমত, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতিবিদ, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ, লুটেরা ও বিদেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারকারিদের জাতীয় শত্রু ঘোষণা করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ও তাদের সকল অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বলা হয়েছে এলাকা ভিত্তিক ‘গণশুনানী? ব্যবস্থার মাধ্যমে। এই গণশুনানীর কার্যক্রমে যেকোনো ব্যাক্তি অপর অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারবেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে গণশুনানীর মাধ্যমে দুর্নীতির অর্থ সম্পদ উদ্ধার করবেন। দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যাক্তির সম্পত্তির যে অংশটুকু দুর্নীতির মাধ্যমে আহরণ করা হয়েছিল সেইটুকু ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থার’ পক্ষে বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং যে ব্যক্তি এই অভিযুক্ত ব্যাক্তি সম্বন্ধে তথ্য দান করবেন তাকে পুরষ্কার হিসাবে বাজেয়াপ্ত অর্থের ১ শতাংশ দেয়া হবে। দুর্নীতি প্রমান না হলে অভিযুক্ত ব্যাক্তি সমূর্ণ নির্দোষ হিসেবে খালাস প্রাপ্ত হবেন কিন্তু যে ব্যাক্তি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাজা প্রদান করা হবে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রাপ্ত ব্যাক্তি যদি দুর্নীতির টাকা পরিশোধ করে আগেই স্বীকৃতি দেন এবং সম্পদ ফেরত দেন তাহলে তাকে কোনো প্রকার সাজার আওতায় আনা হবে না। কিন্তু দুর্নীতি প্রমান হলে তাকে যাবজ্জীবন সাজার ব্যবস্থ্য এই আইনের মধ্যে উদ্‌ধৃত আছে।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

দ্বিতীয়ত, বাজেয়াপ্ত করা বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে ‘গণমুখী বিশেষ বিনিয়োগ তহবিল’ গঠন করতে বলা হয়েছে। ঋণ গ্রহীতা হিসেবে সমাজের তৃণমূলের মানুষদের কথা বলা হয়েছে- কৃষক, যকার, বেকার, ছাত্র, পরিবহন চালক, দোকানদার, ক্ষুদ্র-মাঝারী ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কারখানা মানিকসহ নিয় ও মধ্য আয়ের নাগরিকদের। ঋণ হবে জামানত ছাড়া, বিনা সুদে, দীর্ঘ মেয়াদে সহজ কিস্তিতে পরিশোষযোগ্য পর্যাপ্ত পরিমান। বিনিয়োগ যাত হিসেবে উৎপাদন, সেবা ও শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতের কথা বা হয়েছে যার মাধ্যমে সর্বভরের জনগণের জন্য উন্নততর মর্যাদাপূর্ণ জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করা যাবে।

তৃণমূল জনতার মূল স্লোগান হবে লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করবো, বিনা সুদে পুঁজি নিবো।

লক্ষ লক্ষ মানুষ পুঁজি পেলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, সমাজে সমৃদ্ধি আসবে, প্রকৃত অর্থেই দেশ উন্নত হবে।

৩) “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা বিশেষ আইন পাশ ও বাস্তবায়নের ধারা।

-আইনের পক্ষে দেশের এক দশমাংশ তথা ১ কোটি ৮০ লক্ষ জনগণের অনুয়াক্ষর গ্রহণের মাধ্যমে আইনের প্রতি অনাসলের সমর্থন প্রমান হয় ও সেহেতু সংবিধানিকভাবে অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ শীর্ষক বিশেষ আইন পাশের বান্ধবাধকতা তৈরী হয়

– সমাজের বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি সমন্বয়ে ২১ সদস্যের অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ নামক রাষ্ট্রীয় সংস্থা গঠন

– এই বিশেষ আইনের আওতায় পাড়ায় মহল্লায় ‘গণশুনানীর মাধ্যমে লুটেরা, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ, পাচারকারীদের জাতীয় শত্রু ঘোষণা করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা, দেশে ও দেশের বাইরে পুঞ্জীভূত লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার।

– উদ্ধারকৃত অর্থ অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে দেশের মালিক তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে বিনা সুদে, বিনা জামানতে, দীর্ঘ মেয়াদি সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য পর্যাপ্ত ঋণ প্রদান

– ঋণ গ্রহীতার সাথে সহনশীলতার সাথে ঋণ আদায়ে কাজ করা

৪) অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ডাকা ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ এর সমাবেশ:

২৫শে নভেম্বর ২০২৪ সালে সকাল ১০টায় শাহবাগ চত্বরে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের একটি অবস্থান কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। জনগণের ভ্যাট ট্যাক্সের টাকা বিগত ৫৩ বছরে দেশের বাইরে আর দেশের মধ্যে কালো টাকা ও সম্পদ হিসাবে পুঞ্জীভূত হয়ে আছে। কতিপয় দুর্বৃত্ত এবং সম্পদ লুণ্ঠনকারী জনগণের কষ্টার্জিত টাকা অন্যায় ভাবে পাচার করেছে এবং দেশের মধ্যে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল এ টাকাংগুলো ফেরত আনতে ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ শীর্ষক বিশেষ আইন ও সরকারী সংস্থা স্থাপনের মাধ্যমে জনগণকে ফেরত দেয়ার দাবী অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের কাছে তোলা। এ বিশেষ আইনের খসড়ার সমর্থনে আমরা বিগত চার বছরে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুস্বাক্ষর গ্রহণ করি। এ অবস্থান কর্মসূচির সিদ্ধান্ত আমরা প্রায় ৩ মাস আসে নেই।

ইতোপূর্বে ১৮ই অগাস্ট ২০২৪ সালে সকাল ১০টায় শাহবাগে একই ধরণের এক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির আধবানে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত প্রায় দশ হাজার অহিংস সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আইন উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের মাধামে আমাদের উদ্যোগের বিবরণসহ আমাদের দাবী এবং আইনের খসড়া জমা দেই এবং আমাদের দাবীর ন্যায্যতা, অপরিহার্যতা এবং যৌক্তিকতা সম্মন্ধে সুস্পষ্ট বক্তব্য পেশ করি।

আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রেস সচিব মহোদয় আমাদেরকে জানান যে আমাদের কর্মসূচির সাথে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের সাযুজ্য আছে এবং সরকার যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনকে সাধুবাদ জানায় যা দেশের মানুষের পক্ষে। প্রেস সচিবা মহোদয় আমাদের আন্দোলনের বিষয়বস্তু সম্মন্ধে অবগত হয়ে বলেন উদ্যোগটিকে জাতীয়ভাবে প্রনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে তাদের সচেতন করে জাতীয় দাবীতে পরিণত করার প্রয়াস নিতে, আরো বেশি মানুষের সম্পৃক্ততার মাধ্যামে সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে। সেদিনের জনসমর্থন ও অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা ২৫ নভেম্বর আমাদের আমাদের কর্মসূচির দ্বিতীয় দফায় সরকারের কাছে আমাদের দাবীর জন্য দিন ধার্য্য করি। ইতোমধ্যে আমরা প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছে দু দুবার তাগাদা চিঠি ও আইনের খসড়া জমা দেই এবং সমাবেশকে নিয়ে ২২শে নভেম্বর

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

ছোতীয় প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনও আয়োজন করি। এছাড়াও আমাদের ফেইসবুক ইউটিউব বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে সমাবেশ প্রস্তুতির সমত জোগাড়যন্ত্র সার্বক্ষণিক আপডেট দিতে থাকি।

৫) কি ঘটেছিলো ২৫শে নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগে সেদিন? সারা দেশে অহিংস পরিবারের নামে মামলা, হামলা, ডোল ও জামিন বাণিজ্য।

নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের শাহবাগ/সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন মাস পূর্ব ঘোষিত ২৫শে নভেম্বরের অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ আতীয় সংস্থ্য’ শীর্ষক বিশেষ আইনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী বিভিন্ন জেলা থেকে গণপরিবহনে লক্ষাধিক মানুষ ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে দিলেও আওয়ামী প্রেতাত্মার ভয়ে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক বিশ্রান্তিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।

যদিও ৭ দিন পূর্বের করা হয় সমাবেশের আবেধন ও ও দিন পূর্বে প্রেস ক্লাবে করা যন্ত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন।

কপানোর ফেরে, বিগত ২০২১ সাল থেকে আওয়ামী দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা অহিংস সদস্যদের ‘মিডিয়া ট্রায়ালে নাম জুটে আওয়ামী দোসর ও ফিভিলীগ, ছাত্র জনতার সরকারের উৎখাতে ষড়যন্ত্রকারী। বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহলে সং, দেশপ্রেমিক, আপোষহীন, প্রচারবিমুখ হিসেবে খ্যাত মোস্তাফা আমীনের ললাটে জুটে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। সারাদেশে সংগঠক, কর্মীদের উপর হামলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ সারাদেশে আমাদের সমর্থকদের বহনকারী পরিবহন ভাচুর, সাথে থাকা মোবাইল ও অর্থ আত্মসাৎ, নিরীহ মহিলাদের ছত্রভঙ্গ করতে করা হয় লাঠিপেটা পর্যন্ত। ঝাড়িখার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও মামলা হামনায় অনেকে সর্বশান্ত হয়ে এখনো ঘর ছাড়া। এমনকি বাসে অতর্কিত হামলায় নোয়াখালীর মোঃ ইসমাইল হোসেন নামে এক বয়োজ্যেষ্ঠ সংগঠক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ও সন্তানের জনক কেরানীগঞ্জের মোঃ নুরুদ্দিন (৩০) ২৫শে নভেম্বর ২৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদের নাঠির বাড়িতে প্রচন্ড গণপিটুনির স্বীকার হয়ে অর্থের অভাবে বাড়িতেই চিকিৎসা নেন। প্রায় ও মাস পরে ১৬ই মার্চ ইন্তেকাল করেন।

দেশের বিভিন্ন থানায় অহিংস পরিবারের বিভিন্ন সংগঠক ও অনুস্বাক্ষরকারীদের নামে ঢালাওভাবে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব মতে ১৭মামলায় অভিযুক্ত করা যায় ১৪৬ জনকে, অজ্ঞাত ২৫০০-৩০০০। তন্মধ্যে ৩৬ জনই নারী ও গ্রামের সহজ সরল মানুষ। আনুমানিক ১০০ এর অধিক গ্রেফতার ও কারাবাসের শিকার হয়। এদের মধ্যে রয়েছে আড়াই বছরের মেয়ে শিশু মারিয়ামকে নিয়ে এক মা দেলোয়ারা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি প্রিসনে (৩ মাস), শারীরিক প্রতিবন্ধী পঞ্চাশোর্ধ মহিলা ও তার স্বামী (৩ মাস), মানসিক প্রতিবন্ধী অটিস্টিক পুরুষ (কারাবাস চলমান): গ্রামের ঘেটে খাওয়া মাদুর, গাছি, মাংস বিক্রেতা, অটোচালক, ফল বিক্রেতা, মাদ্রাসার জছের, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ১-৩ মাস কারাবাস যাপন করেন। গ্রামের দরিদ্র নিরীহ কিছু লোক উকিল নিয়োগ করতে না পাড়ার এখনো কারাগারে।

আদালতের অসৎ উকিল গ্রামের দুই অনেকের কাছ থেকেই কন্ট্রাক্ট জামিনের নামে ৩০ মাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাতিয়ে নেয়। অনেকে আবার থানা পুলিশ এর ভয়ে পলায়মান থাকায় তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা, বাড়ি ঘর বুট পাটের শিকার হয়। এমনকি নোয়াখালীতে এক সনাতন ধর্মের সংগঠক তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করতে ১লক্ষ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ দেন। এদের বাইরেও আরও অনেকের ক্ষয়ক্ষতির খবর আমাদের এখনো জানা নেই। ঢাকায় আগত অনেক বাসও ভাঙচুর এর শিকার হয় ছাত্র ও দলীয় ক্যাডারদের লাঠির বাড়িতে।

অনেকের জন্য এটাই প্রথম ঢাকা আসা, জুলাই অভ্যুত্থানের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখা। কিছুটা ভয় সংকোচ, তবুও আইন পাশ ও দুর্নীতির অর্থ উদ্ধারের মাধ্যমে লোন পাওয়া ও অর্থনৈতিক কিছুটা সমৃদ্ধির স্বপ্নের দোলাচলে তাদের ঢাকা যাত্রা শেষ হয় হামলা, মামলার আর অপমানের মাধ্যমে। ‘কেন ঢাকা আসতে গেলেন? জবাবে এক মহিলা বলেন, ‘কেন আমাদের কি ঢাকা আসার অধিকার নাই?”

৬) মোস্তফা আমীনসহ অহিংসের নেতাদের মুক্তি দাবী: ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক (সমকাল পত্রিকা ২৭শে নভেম্বর ২৪):

“অহিংস গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও কামাল হোসেন, বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হকসহ ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক। যৌষ বিবৃতিতে তারা বলেন, মোস্তাফা আমীন দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির মাধ্যমে

পাচার অর্থ ফেরত আনার জন্য গণসংযোগ ও স্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন। পাচার রোধ ও উদ্ধার অর্থ জনগণের কাছে সুদমুক্ত ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি জাতীয় বিনিয়োগ সংস্থা গঠনের আইনের খসড়া তৈরি করেন, যা ১৮ আগস্ট প্রধান

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

উপদেষ্টার কাছে দিয়েছেন। দাবি বাতবায়নে ২৫ নভেম্বর মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন। কিছু পদ্ধতিগত দুর্বলতা সত্ত্বেও তাদের এ উদ্যোগ জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে বলে আমরা মনে করি।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসনাম সেলিম, বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুরত চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ এবং সিপিবির পলিট ব্যুরো সদস্য আবুদল্লাহ আল কাফি রতন।”

৭) আমাদের দাবী।

অধিংসের হাজার মাজার সংগঠকের দেশের আনাচে কানাচে ৪ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরী হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখের দুর্নীতি বিরোধী প্রান্তিক সচেতন জনমত। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ না জানিয়ে, জনমতকে শক্তি হিসেবে গ্রহণ না করে ভ্রান্ত পর্যালোচনার ভিত্তিতে নেতিবাচক প্রচার, অমলা মামলার শিকার করা হয়, যা চড়ম অন্যায় ও নির্বুদ্ধিতা। এখন জরুরী, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সুবিবেচনাপ্রসূত পদক্ষেপ

আইংসের অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জোতীয় সংস্থা” বিশেষ আইন সংক্রান্ত

– দুর্নীতি বিরোধী ও পচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বিশেষ আইন প্রণয়নে ১কোটি ৮০লক্ষ অনুস্বাক্ষরকারীর প্রচেষ্টার স্বীকৃতি আপন

-পুত্তির অধিকারকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে ঘোষণা করা

-অতিদ্রুত বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আমিংসের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা পূর্বক অহিংসের পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার ও গণ-মুখী বিনিয়োগ বিশেষ আইনটি যাচাই বাছাই পূর্বক বর্তমান বিদ্যমান বা আলোচনাধীন আইনের সাথে একীভূতকরণ।

মামলা সংকার

সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি

-পুলিশের হয়রানী বন্ধ সহ সকল মামলা প্রত্যাহার

– হামলা, চাঁদাবাজি, মামনা বাণিজো ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের দরিদ্র মানুষের ক্ষতিপূরণ

– যেসব পুলিশ অফিসার বিভিন্ন সংগঠকদের সাথে জুলুম করেছে তাদের প্রত্যাহার

– আদালতে মামলা বাণিজ্য রোধে পদক্ষেপ

সাংবাদিকদের প্রতি-

– এখানে সন্নিবেশিত তথ্য যাচাই বাছাই করে ইতিপূর্বে ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে ভুল স্বীকার ও অহিংস সংগঠন সম্পর্কে নতুন করে সঠিক ভাবে উপস্থাপন নতুবা ১ কোটি ৮০ লক্ষ নাগরিকের মানহানি ও সম্পদহানীর দায় আপনাদের উপর বর্তাবে।

-এখন থেকে ঘটনার বৃত্তান্ত সঠিক পর্যালোচনা না করে শুধু ক্লিক বেইট এর পিছনে না ছোটা

৮) ২৫শে নভেম্বর শাহবাগে অহিংসের সমাবেশ আয়োজনে কিছু ভুল স্বীকার:

যদিও আমরা ১৮ই আগস্ট২৪ আনুষ্ঠানিকভাবে আইনের খসড়াসহ স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা-বরাবর জমা দিয়েছিলাম ও পরবর্তীতে দু দুবার তাগাদা পত্র দিয়েছিলাম, সরকারের তরফ থেকে

কোনো যোগাযোগ আমাদের সাথে করা হয়নি। তবুও মনে করি আমাদেরই আরও ইউদ্যোগী হয়ে সরকারের সাথে আলোচনার টেবিলে বসা উচিত ছিল।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

*পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার ও গণমুয়ী বিনিয়োগ বিশেষ আইনের খসড়াটি তৈরী দেশের প্রথিতযশা আইন জেতিদের মাধ্যমে ও সমর্থনে

নেয়া হয়েছিল ১কোটি ৮০ লাখের বিপুল জনগোষ্ঠীর অনুযাক্ষর। কিন্তু সিদ্ধান্ত ও আইন প্রণেতা শহরে সিভিল সোসাইটি এলিট ক্লাস, বিশেষজ্ঞ পর্যায় ব্যক্তিবর্গকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন ছিল সেমিনার সিম্পোসিয়ামের মাধ্যমে। সমমনা সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সমাবেশের সাথে সম্পৃক্ত করাতে আরও যত্নবান হওয়া উচিৎ ছিল।

অনুস্বাক্ষরকারীর সংখ্যা বাড়ানোতে বেশি নজর দিতে গিয়ে, উদ্যোদের সঠিক বার্তা তাদের বোধসম্যতার মধ্যে দেয়াতে ঘাটতি হয়েছিল বলে মনে করি। সেজন্যই ঢাকায় গেলে টাকা পাওয়া যাবে, ইউনুস সরকার টাকা দিবে এরকম বিগ্রান্তিমূলক ঝরণা হয়তোবা অনেকের মধ্যে ছিল।

উপরন্তু নতুন সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেষের তখনো যিতু যয়নি সে অবস্থায় এককরে এত বড় সমাবেশের আমোমেন, কিছুটা অবিবেচনাপ্রসূত ছিল।

৯) পরিশেষে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা কথা বলে যাওয়া সংগঠনের আহবায়ক বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহলে সৎ, অপোধধীন, প্রচারবিমুখ হিসেবে। খ্যাত প্রবীণ রাজনীতিবীদ আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীন (৭৭) সহসংগঠনের অনেকে বিভিন্ন মেয়াদে ও মাস পর্যন্ত কারাবাসের পর অবশেষে জামিন পেয়েছেন। যদিও অনেকেই উকিল-পুলিশ-আদালতের বাণিজ্যিক গোলকযায় মেলাতে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে অপারঙ্গম হওয়ায় এখনো কারাগারে। ‘জনসনেরই সরকার, আমাদেরই ছাত্র জনতার, জাতির বিবেক বলে খ্যাত সিভিল সোসাইটির সরকার, তাদেরই সহযোদ্ধা ৭৭ বছর বয়স্ক প্রবীণ মোস্তফা আমিনের সাথেও মাসের জেল জুলুমের এমন বিবেকহীন নৃশংসতা আমাদের জব্ধ করে দেয়। মোস্তফা আমীনসহ গ্রামের দিল্লিৎ মানুষদের উপর এ মামলা মামলা কান্নবাস দেশের আইনি ব্যবস্থার উপর শুধু না, জাতির বৈষম্যহীন চেতনায় কালো দায় হয়ে থাকব্যে

বর্তমান সরকার দেশ ও বিদেশ যেতে লুঞ্চিত টাকা পুনরুদ্ধারে যে প্রশংসনীয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন অহিংসের ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুস্বাক্ষরকারীর পরিবারকে তার শক্তি হিসেবে গ্রহণ না করে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা চরম অবিবেচনা প্রসূত ও জেনগন তথা দেশের মালিকের শক্তিকে অবজ্ঞা করা। ব্রিটিশ লোককাহিনী এডভেঞ্চার অফ রবিনহডে দুর্নীতিগ্রন্থ, লুটেরা অনৈতিক বিত্তবানদের ঘোড়ারগাড়ি পথে গতিরোধ করে স্বর্ণমুদ্রা ছিনিয়ে গরিবদের মধ্যে ফণ্টনকারী হিসেবে খ্যাত ছিল নায়ক রবিনহুড ও তআর দল। ‘দুর্নীতির অর্থ উদ্ধার করে তৃণমূলে পুঁজি বণ্টন এর অভিনব ধারণা ও তার জন্য ক্রমেগঞ্জে দৌড়িয়ে ১ কোটি ৮০ লক্ষ অনুসমর্থন নিয়ে ফেলার মতো অসম্ভব কর্মযজ্ঞের জন্য অহিংস পরিবারকে বাংলার তৃণমূলের রবিনহুড স্বীকৃতি না দিয়ে কারগারে ক্ষেপন সরকারের বিবেচনা, কচির অবক্ষয় ও বিবেকের চরম দুর্নীতির প্রমান।

সমাজের অতি উচ্চ তলার দুর্নীতির বিপুল অর্থ যা অপ্রয়োজনীয় ভোগ বিলাসে য্যায়িত হয় ও পৃথিবী, প্রাণ-প্রকৃতির উপর অযথা চাপ ফেলে তা যদি সমাজের নিগ্রতম তরে বণ্টন করা যায় তবে যে অর্থনৈতিক বাস্তবতার উদ্ভব হবে তা অভিনব ও বিশ্বে দৃষ্টান্তহীন। ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মতো এটিও একটি কালজয়ী মতবাদ ও মডেল হিসেবে বিশ্বে আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারে। ওনার নতুন ‘ও শূন্য’ উদ্যোগের শূন্য দরিদ্র অভিকল্পে অধিংসের উদ্যোগ ফলপ্রসু ভূমিকা রাখতে পারে।

এখন উচিৎ, সরকারের সুবিবেচনা প্রসূত সঠিক পদক্ষেপ।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

প্রিয় দেশবাসী,

চলমান গভীর অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে “গণমুখী বিশেষ বিনিয়োগ তহবিল” গঠনের দাবিতে “শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি” সংগঠিত করতে নেতৃত্ব দিন।

রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত বাংলাদেশের সংবিধানের ৭(১) অনুচ্ছেদে জনগণকে দেশের মালিক ঘোষণা করে মালিকদের সম্মানজনক জীবন, জীবিকা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করা হলেও ৪৯ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা নষ্ট লুটেরা শাসকগোষ্ঠী সাংবিধানিক অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে শুধু চরমভাবে ব্যর্থই হয়নি বরং খেটে খাওয়া গরীব মানুষ, নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষদের বেঁচে থাকা কঠিন করে তুলেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি হায়নার দল ব্যাংক-শেয়ারবাজার লুট, ভ্যাট-ট্যাক্স-তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধিসহ নানা ছলাকলায় গণমানুষের রক্ত শোষণ করে চলছে।

সততা, নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ বিবর্জিত কালোটাকা ও পেশীশক্তি নির্ভর দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির জঙ্গলে জন্মানো ঘুষখোর, চাঁদাবাজ, লুটেরা ও বিদেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারকারিদের ‘জাতীয় শত্রু’ ঘোষণা করে কুলাঙ্গারদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করাসহ তাদের সকল অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

বাজেয়াপ্ত করা বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে ‘গণমুখী বিশেষ বিনিয়োগ তহবিল” গঠন করে কৃষক, হকার, বেকার, ছাত্র, পরিবহন চালক, দোকানদার, ক্ষুদ্র-মাঝারী ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, কারখানা মালিকসহ নিম্ন ও মধ্য আয়ের নাগরিকদের মধ্যে জামানত ছাড়া, বিনা সুদে, দীর্ঘ মেয়াদে সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য পর্যাপ্ত ঋণ প্রদান করে উৎপাদন, সেবা ও শিক্ষাসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ করে দেশে বিরাজমান চরম খারাপ পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির বিকাশ নিশ্চিত করে সর্বস্তরের জনগণের জন্য উন্নততর মর্যাদাপূর্ণ জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে।

মারামারি, সংঘাত, হানাহানি, রক্তপাত ছাড়া অহিংস পন্থায় দেশের মালিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে “শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বর্ণিত ন্যায়সঙ্গত অধিকার বাস্তবায়ন করা কঠিন কাজ হবেনা। নিজেদের সন্তান, পরিবার ও দেশের কল্যাণে সর্বস্তরে নিজ নিজ উদ্যোগে পাড়া, মহল্লা, মার্কেট বিপণিবিতানে “অহিংস গণ-অভ্যুথান বাংলাদেশ” কমিটি গঠন করুন। অহিংস পদ্ধতিতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সম্মানজনক জীবিকার স্বার্থে ‘গণমুখী বিশেষ বিনিয়োগ তহবিল” থেকে ঋণ পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমাদের অধিকাংশ জনগণ দরিদ্র, কারণ তাদের পুঁজি নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ পুঁজি পেলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, সমাজে সমৃদ্ধি আসবে, প্রকৃত অর্থেই দেশ উন্নত হবে।

গঠিত কমিটিগুলির সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে “শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’র স্থান, তারিখ ও সময় ঘোষণা করা হবে। বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মনুষ্যরূপী রক্তচোষা রাক্ষসকুলের কবল থেকে মুক্ত করে সকলের জন্য সম্মানজনক জীবন জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে।ঐক্যবদ্ধ জনগণের ক্ষমতা অপরিসীম। সংগঠিত জনতার জয় অবধারিত অনুরোধ। মনে চাইলে ২ (দুই) টাকা অনুদান হিসেবে দিতে পারেন

আহ্বায়ক অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ তারিখ: ঢাকা ২৬ মার্চ ২০২১ ইংরেজি

জনাব আ.ব.ম মোস্তাফা আমীন-এর পরিচিতি

১৯৪৮ সালে ফেনী জেলার ফুলগাজী থানার নোয়াপুর গ্রামে এক উদার মধ্যবিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।

ফুলগাজী হাইস্কুল, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লাহোর সরকারী কলেজ, করাচি বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনস্থ ম্যানেজমেন্ট এডুকেশন ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। বি.এ (অনার্স), এম.এ (অর্থনীতি), এল.এল.বি এবং এম.এস (ব্যবস্থাপনা) ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন শিক্ষা কোর্স ও সেমিনারে যোগ দেন।

ছাত্র হিসেবে মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যাশয় ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ‘মেধা’, ‘আন্তঃপ্রদেশ ছাত্রবিনিময়’ ও ‘ফোর্ড ফাউন্ডেশন’ বৃত্তি লাভ করেন।

১৯৬৮ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

১৯৬৮ সালে আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে করাচিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।

১৯৭০ সালে কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এ সহকারী অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন।

১৯৭১ সালে কর্মস্থল ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধ শেষে কর্মস্থলে যোগ দেন।

১৯৮১ সালে ৩৩ বছর বয়সে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের যুগ্ম অর্থ উপদেষ্টা পদে পদোন্নতি পান।

১৯৮৬ সালে চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন এবং আইন পেশায় যোগদানের লক্ষ্যে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন।

ডানিডা, ফিটিজেড, ইউএসএআইডি, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্যপুষ্ট উন্নয়ন প্রকল্পে বাজেট প্রণেতা/ফিন্যানশিয়াল এনালিষ্ট/ কনসালটেন্ট/টিম লিডার হিসেবে কাজ করেন।

* জনাব মোস্তাফা আমীন সমবায়ের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং সমবায় সমিতি গঠন ও পরিচালনা করেন।

আইসিএমএ-তে আইন বিষয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।

১৯৮৮ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত স্ব-অর্থে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বন্ধু’র প্রতিষ্ঠাতা নিবাহী পরিচালক ছিলেন। (চেয়ারম্যান-জনাব মফিজুর রহমান, এম, এ, হার্ভার্ড, সাবেক সি.এস.পি ও সচিব)

১৯৯০ সালে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ‘দি নিউজ ডে’ পত্রিকার শেয়ার হোল্ডিং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ছিলেন। (এডিটর-জনাব এ.বি.এম. মুসা)।

১৯৯২ সালে উগ্রবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে উপমহাদেশে যে তাণ্ডবলীলার সূচনা করে তার প্রেক্ষিতে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদ’ গঠন করেন ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন (সভাপতি-বিচারপতি কে.এম. সোবহান)।

১৯৯৬ সালে বিশ্বব্যাপী শ্রমের অবাধ যাতায়াতের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা ‘ওয়ার্ক পারমিট’ ব্যবস্থা চালু করার দাবিতে ভিসামুক্তবিশ্ব আন্দোলনের সূচনা করেন। ‘৯/১১’ এর পর বিশ্ব পরিস্থিতি বদলে গেলে এ আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জনাব আমীন ভিসামুক্তবিশ্ব আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক।

২০০২ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে, কোন অর্থ ব্যয় ছাড়া, হারিকেন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ৩৪,৪৭৬ ভোট পেয়ে ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করেন এবং ফরওয়ার্ড পার্টি গঠন করেন।

২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্যায়ভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকে উক্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের প্রেক্ষিতে গঠিত ‘বাংলাদেশ ও নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের সম্মান রক্ষা নাগরিক কমিটি’ গঠন করে উক্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। জনাব আমীন উক্ত কমিটির নির্বাচিত আহ্বায়ক ছিলেন।

২০১৬ সালে দেশে বিদ্যমান অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে-শ্রঐক্যবদ্ধ করার প্রায়াসে গঠিত ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র তিনি সদস্য সচিব ছিলেন (আহ্বায়ক-সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন)

* ‘রাজনীতি, সমাজ, স্বৈরাচার, বাংলাদেশ’, ‘সমৃদ্ধির স্বার্থে সম্প্রীতি’ ও ‘আমার জন্মদাতা’ গ্রন্থের প্রণেতা। জনাব মোস্তাফা আমীন মেধাবী, কঠোর পরিশ্রমী, সৎ, দক্ষ, যোগ্য, বিনয়ী, সদাহাস্য কিন্তু কর্তব্য পালনে অনঢ়, এক অনন্য আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী।

লুষ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুজি নেব

ভ্যাট-ট্যাক্সের নামে জনগণ থেকে আদায় করা লুণ্ঠিত ও পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করে বিনা সুদে, বিনা জামানতে পুঁজি পাবার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

প্রিয় দেশবাসী,

সংবিধানের আওতায় অহিংস পন্থায় “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রনয়ণের লক্ষ্যে তৃণমূলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করুন। কৃষকসহ পুঁজিহীন ও স্বল্প পুঁজির জনগোষ্ঠীকে পুঁজি দেয়ার উদ্যোগে কার্যকর ভূমিকা রাখুন।

সরকারের জমিদারী থাকেনা, লাভজনক কোন ব্যবসাও থাকেনা। সরকার ভ্যাট, ট্যাক্স, ডিউটি, ফি, চার্জ ও নানাবিধ সেবার নামে আঠার কোটি জনগণ থেকে মাত্রাতিরিক্ত হারে অর্থ আদায় করে প্রশাসন ও উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৭ (সাত) লক্ষ ৬১ (একষট্টি) হাজার কোটি টাকার বাজেট করা হয়েছে। যেহেতু সরকারের নিজস্ব কোন আয় নেই, জনগণ থেকে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ পন্থায় এ টাকা আদায় করতে হবে। এ বছর আঠার কোটি দেশবাসী থেকে জনপ্রতি গড়ে ৪২ (বিয়াল্লিশ) হাজার ৩০০ (তিনশত) টাকা করে আদায় করা হবে। যে পরিবারে বাচ্চা বুড়ো মিলে ৫ (পাঁচ) জন সদস্য আছে তাদের থেকে আদায় করা হবে ২ (দুই) লক্ষ ১১ (এগার) হাজার টাকা। বর্তমানে ৫ (পাঁচ) জনের ঐ পরিবারের ঘাড়ে ৪ (চার) লক্ষ ৭৫ (পঁচাত্তর) হাজার টাকা দেশী/বিদেশী ঋণ আছে, যা তাদেরকে সুদে আসলে পরিশোধ করতে হবে।

এমন কোন পণ্য নেই যা করের আওতার বাইরে। বিড়ি, সিগারেট, ফেকইল, চাল, ডাল, চিনি, লবণ, তেল, কাপড়, জামা, জুতা, কাগজ, কলম, শিক্ষা, আমদানীকৃত যন্ত্রপাতি-যানবাহন-গণ্য, নির্মাণ সামগ্রী, প্রসাধন, শাকসবজি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, ট্রেন-লঞ্চ-বাস ভাড়া, পানিসহ যা কিছুই মানুষ ব্যবহার করে, প্রত্যেক জিনিসের উপরেই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয়। উচ্চ হারে ধার্যকৃত করের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়, মানুষ অর্থশূন্য হয়।

বিদেশেও সরকার জনগণ থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স আদায় করে। তফাৎ হচ্ছে বিদেশে করের টাকা বেকার ভাতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, পুঁজির যোগান ও অন্যান্য জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। অপরপক্ষে আমাদের দেশে জনগণ থেকে আদায় করা ভ্যাট, ট্যাক্সের টাকার বৃহৎ . একটি অংশ, স্বাধীনতার পর থেকেই, সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে লোপাট করে একটি দুর্বৃত্ত চক্র দেশে বিদেশে দৃষ্টিকটু বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে, লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। এভাবেই বাংলাদেশে কৃষক, শ্রমিক, হকার, ব্যবসায়ীসহ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীকে পুঁজিশূন্য করে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দেয়া হয়েছে।সম্প্রতিকালে সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র কোকো’র সিঙ্গাপুরে পাচার করা ২১ (একুশ) কোটি টাকা

উদ্ধার করে দেশে ফেরৎ এনেছে। শেয়ার বাজার লুট হবার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি, কে কিভাবে জালিয়াতি করেছে তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে রিপোর্ট জমা দিলেও

সরকার জনসম্মুখে তা প্রকাশ করেনি, লুষ্ঠিত অর্থ উদ্ধারের কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ভারতে পঞ্চাশ/ষাট বছর ধরে দুর্নীতি বিরোধী কার্যকর আইন করার জন্য বহু আন্দোলন,

সংগ্রাম হয়েছে। ১০ (দশ) ১০ (দশ) বার আইনের খসড়া লোকসভায় জমা দেয়া হলেও কাঙ্ক্ষিত আইন পাশ করান যায়নি। ২০১১ সালে, এক সময়ের গাড়ির ড্রাইভার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সার্টিফিকেট না থাকা, অহিংস গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারে দিল্লির ‘যস্তর মন্তর’ চত্বরে লক্ষ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে, সরকারের নানা কূট কৌশলকে পরাজিত করে, দুর্নীতি বিরোধী ‘জন লোকপাল বিল’ পাশ করতে সরকারকে বাধ্য করেন।

জন লোকপাল’ আইনের আওতায় ভারতের যে কোন নাগরিক সে দেশের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, এম পি, মন্ত্রী, এম পি, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্যসহ সকল নির্বাচিত ব্যক্তি এবং প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত নৌ-বিমান-সেনা কর্মকর্তা ছাড়া সকল সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে লোকপাল অফিসে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মামলা হয়, দোষী ব্যক্তির দীর্ঘ মেয়াদে জেল ও বিপুল অংকের জরিমানা হয়। এ আইন হবার পর ভারতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।

আন্না হাজারে যেভাবে অহিংস পন্থায় ‘জন লোকপাল বিল’ পাশ করিয়েছেন, অভিন্ন সাংবিধানিক পদ্মা অবলম্বন করে বাংলাদেশেও নির্বাহীদের প্রভাবমুক্ত সম্পূর্ণ স্বাধীন ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ গঠনের আইন প্রনয়ণ সম্ভব। সৎ, যোগ্য অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, ব্যাংকার, প্রবাসী ও অন্যান্য শ্রেণি পেশার নাগরিকদের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত সংস্থা গঠিত হবে। (যে কেউ চাইলে তাকে আইনের খসড়া সরবরাহ করা হবে)।

“অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ” (a civil rights organization) এর আহ্বায়ক আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীনের নেতৃত্বে কাঙ্ক্ষিত আইন প্রনয়ণের লক্ষ্যে দেশে বিদেশে দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা হচ্ছে। যে সব মানুষ তাদের থেকে আদায় করা ভ্যাট, ট্যাক্সের লোপাট ও পাচার হওয়া অর্থ যৌক্তিক ও ন্যায্য কারণে পুঁজি হিসেবে ফেরৎ পেতে চান “অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ” এর ‘স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক’দের মাধ্যমে ‘নির্ধারিত ছকে’ তাদের থেকে ঋণের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ ছাড়া সকলেই আবেদন করবেন।

বিদেশে, বিশেষ করে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত দেশপ্রেমিক প্রবাসীদের মাধ্যমে ঐ সব দেশে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা বানানো হচ্ছে। দেশের ভেতরের লুটেরাদের তালিকাও বানানো হবে। সংবিধানের আওতায় আইনের দ্বারা গঠিত উপরোক্ত জাতীয় সংস্থা এসব তথ্য ব্যবহার করে সকল দুর্নীতির অর্থ আদায় করে বিশেষ তহবিলের মাধ্যমে জনগণকে পুঁজির যোগান দিবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় দেশ বিদেশ থেকে শুরুতেই ১০ (দশ) লক্ষ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব। প্রস্তাবিত জাতীয় সংস্থা কর্তৃক উদ্ধার করা অর্থ দিয়ে চল্লিশ/পঞ্চাশ লক্ষ কৃষক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার, হকার, ছাত্র, পরিবহণ কর্মী,

বিদেশে চাকুরী প্রত্যাশী, উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র-মাঝারী ব্যবসায়ী-উৎপাদক, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে বিনা সুদে, বিনা জামানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ১ (এক) লক্ষ টাকা থেকে ১ (এক) কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের আকারে পুঁজির যোগান দেয়া যাবে। এতে ধাপে ধাপে চার/পাঁচ

কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, সর্বক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, ব্যবসা বাণিজ্য গতি পাবে, সকলের আয় বাড়বে, অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, জাতি দারিদ্রমুক্ত হবে।

আসুন, সংবিধানে প্রদত্ত অধিকারের আওতায়, ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার আলোকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে জনগণকে সংগঠিত করি। সংগঠকদের মাধ্যমে ‘নির্ধারিত ছকে’ পুঁজি পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের ঋণের আবেদন আইনের দ্বারা গঠিতব্য জাতীয় সংস্থার নিকট অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও জনগণকে পুঁজি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য, জমা দেয়ার ব্যবস্থা করি।।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

বিনীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার

অন্যতম সংগঠক

প্রচারেঃ অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব হোসেন

অন্যতম সংগঠক, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ।

তারিখ: ০৮-০৮-২০২৩ইং

কৃষক, শ্রমিক, হকার, বেকার তথা সকল জনগণ থেকে ভ্যাট, ট্যাক্স হিসাবে আদায় করা লক্ষ কোটি টাকা ক্ষমতাশ্রিত একটি হায়নার দল, স্বাধীনতার পর থেকেই লুটপাট করছে।

লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করবো, বিনা সুদে পুঁজি নেবো।

“অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” শিরোনামে দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের দাবিতে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকার শাহবাগ মোড়ে “অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিনা সুদে, বিনা জামানতে এক লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত পুঁজি পেয়ে দারিদ্র্য মুক্তিতে আগ্রহী সর্বস্তরের জনগণকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

আ.ব.ম. মোস্তাফা আমীন

আহ্বায়ক অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

কার্যালয়ে পুঁজির আবেদনের ‘ছক’ পাওয়া যায়। নির্ধারিত ছকে পুঁজির আবেদন করুন।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ

(দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আইন)

“অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা”

প্রস্তাবিত আইনের খসড়া

উদ্দেশ্য

যেহেতু অবৈধ ও পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার করে পুঁজিহীন ও স্বল্প পুঁজির উদ্যোক্তা, উৎপাদক, ব্যবসায়ীদের বিনা সুদে, বিনা আমানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য পুঁজির যোগান দিয়ে উৎপাদন ও সেবা খাতের সম্প্রসারণ প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির মাধামে কর্মসংস্থান, আয় বৈষম্যের অবসান, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সমীচীন।

এবং যেহেতু, স্বাধীনতার পর থেকেই, ভ্যাট, ট্যাক্স, চার্জ, ফি, ডিউটি, ইত্যাদি গাতে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আদায় করা অর্থ, একটি দুর্নীতিবাজ লুটেরাগোষ্ঠী আত্মসাত করছে এবং আত্মসাতকৃত অর্থের একটি বড় অংশ বিভিন্ন দেশে পাচার করছে।এবং

যেহেতু, বাংলাদেশের সংবিধানের ৭ (১) অনুচ্ছেদে জনগণকে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের মালিক ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০ (২) অনুচ্ছেদে কোন ব্যক্তিকে অনুপার্জিত অর্থ ভোগ করতে না দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে।

এবং

যেহেতু, জনগণ থেকে আদায় করা অর্থ তৃণমূলে জনগণের সার্বিক কল্যাণে ব্যবহৃত না হয়ে লুটপাট ও পাচার হওয়ায় জনগণ পুঁজিশূণ্য হয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে উন্নততর জীবনযাপনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জাতীয় উন্নয়ন বাধ্যমস্ত হচ্ছে, সামাজিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।

এবং

যেহেতু, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদে মেহেনতি মানুষ তথা কৃষক ও শ্রমিকসহ অনগ্রসর অংশকে সকল প্রকার শোষণ থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

এবং

যেহেতু, মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষায় রচিত সংবিধানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার করে জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য জনগণকে

পুঁজির যোগান দেয়া আবশ্যক:

এবং

যেহেতু অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা নামে একটি সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন, সেহেতু এতদ্ধারা নিম্নরূপ আইন প্রণয়ন করা হইলঃ-

প্রারম্ভিক

১ । সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন- (১) এই আইন ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও

গণমুখী

বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” আইন নামে অভিহিত হইবে।

(২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। অন্য আইনে যাই কিছু থাকুকনা কেন, প্রাসঙ্গিক বিষয়ে এই আইনের সাথে কোন বিষয়ে ভিন্নতা দেখা দিলে অত্র আইন প্রধান্য লাভ করিবে।

৩। সংজ্ঞা- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে—

(১) ‘সংস্থা’ বলিতে অত্র আইনের অধীনে গঠিত অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখি বিনিয়োগ সংস্থা বুঝাইবে।

(২) ‘পুঁজি’ বলিতে ভ্যাট, ট্যাক্স, চার্জ, ফি, ডিউটি ইত্যাদি দ্বারা আদায়কৃত অর্থ যাহা জনগনকে প্রদান করা হইবে তাহা বুঝাইবে।

(৩) ‘কমিটি’ বলিতে অত্র আইনের অধীনে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনের জন্য গঠিত কমিটি বুঝাইবে।

(৪) ‘উদ্ধার’ বলিতে লুটেরা ধনিকদের নিকট হইতে আদায় বুঝাইবে।

(৫) ‘উদ্যোক্তা’ এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণকারি সংগঠন “অহিংস গণ অভ্যুত্থান বাংলাদেশ” বুঝাইবে।

৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পুরনের জন্য-

(ক) বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি সমন্বয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি থাকিবে যাহা ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা’ নামে অভিহিত হইবে।

(খ) মৃত্যু, পদত্যাগ, পদচ্যুতি, স্বাস্থ্যগত বা অন্য কোন কারণে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে কোন পদ শূণ্য হলে সংশ্লিষ্ট শ্রেণি-পেশা থেকে সদস্য নিয়ে শূণ্যপদ পূরণ করবে: এতদুদ্দেশ্যে সংস্থা ৫ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটি গঠন করিয়া রাখিবে।

(গ) সদস্যগণ নিজেদের মধ্য থেকে একজন প্রধান সমন্বয়ক এবং একজন সদস্য সচিব নির্বাচন করবেন। অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ প্রথম মেয়াদের জন্য সমন্বয়ক ও সদস্য সচিব নির্বাচন করবে। মেয়াদ হবে ১ বছর। দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে সদস্যগণ নিজেদের মধ্য হতে একজন সদস্যকে ২ (দুই) বছর মেয়াদের জন্য “প্রধান সমন্বয়ক” নির্বাচিত করবেন। প্রধান সমন্বয়ক একজন সদস্যকে, অন্যান্য সদসাদের অনুমোদন সাপেক্ষে “সদস্য সচিব” হিসাবে নিয়োগ দিবেন।

(ঘ) কোন কারণে প্রধান সমন্বয়ক বা সদস্য সচিবের পদ শূণ্য হইলে সদস্যগণ নিজেদের মধ্য হইতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী শূণ্য পদ পুরণ করিতে পারিবেন।

৫। উপকমিটি ক) তথ্য সংগ্রহ-বিদেশ (কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর,

মালয়েশিয়া প্রভৃতি) খ) তথ্য সংগ্রহ-বাংলাদেশ গ) অর্থ উদ্ধার-বিদেশ ঘ) অর্থ উদ্ধার -বাংলাদেশ ৫) পুঁজি প্রদান কার্যক্রম চ) প্রশিক্ষণ (পুঁজি গ্রহীতা, সংগঠক) ছ) পুঁজি গ্রহীতাদের কারিগরি, ব্যবস্থাপনা সহায়তা অ) সংগঠকদের সম্মানি প্রদান ঞ) নৈতিকতা ও শৃংখলা ট) আইন ও বিচার ঠ) গণশুনানি কমিটি থাকিতে পারিবে।

প্রতিটি উপকমিটি হইবে কমপক্ষে ৩ ও সর্বোচ্চ ৭ সদস্য বিশিষ্ট। এক বাক্তি সর্বাধিক দুই

উপকমিটির সদস্য থাকিতে পারিবেন।

কোন সদস্য প্রধান সমন্বয়কের লিখিত অনুমোদন ছাড়া পর পর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে সদস্য পদ হারাইবেন।

৬। কর্ম পরিধি

(ক) সংগঠক বিদেশ অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা, সম্পদের তথ্যাবলী সংগ্রহ করিবেন, সামাজিক আন্দোলন সংগঠিত করবে, অর্থ উদ্ধার ও বাংলাদেশে প্রেরণের

বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করিবেন। গণশুনানী কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করিবেন।

(খ) সংগঠক-বাংলাদেশ-জনগনের নিকট হইতে পুঁজির আবেদন সংগ্রহ করিবেন, নিজেরা প্রশিক্ষণ নিবেন, পুঁজি গ্রহীতাদের প্রশিক্ষণ, পুঁজি প্রদান, পণ্য ও সেবা সংগ্রহ, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা তদারকি, কিস্তি আদায়ে সহযোগিতা করবে। দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ অর্থের তথ্যাবলী সংগ্রহ করিবেন, এসব অর্থ উদ্ধারের বিষয়ে জনমত সৃষ্টিসহ অন্যান্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন। গণশুনানী কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করিবেন।

(গ) পুঁজি প্রদান কার্যক্রম…পুঁজি গ্রহীতাকে, যে সকল ক্ষেত্রে সম্ভব, নগদ অর্থ প্রদান না করে পণ্য ও সেবা সরবরাহকারীকে অর্থ প্রদান করা হবে। পুঁজি প্রদান পর্যায়ে প্রতি ঋণের বিপরীতে সংস্থা নিজস্ব তহবিল হইতে সংগঠকদের আর্থিক সম্মানী প্রদান করিবে।

(ঘ) সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বোচ্চ কৃচ্ছতার নীতি অনুসরণ করিতে হইবে। সদস্যগণ যাতায়াত, পোস্টাল, হোটেল খরচ ছাড়া কোন বেতন ভাতা গ্রহণ করিবেন না।

(ঙ) ‘সংস্থা’ চাকুরী বিধি প্রণয়ন করিয়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ দান করিতে পারিবে, তবে কোন সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীকে প্রেষণে গ্রহণ করিবেনা। কোন সদস্যের কোন নিকট আত্মীয় যথা- ভাই, বোন, চাচা, মামা, ফুফু, খালা, স্ত্রীর আত্মীয় এবং তাদের নিকট আত্মীয়কে সংস্থায় নিয়োগ দেয়া যাইবেনা এবং তারা কোন পণ্য সেবা সরবরাহ করিতে পারিবেনা।

(চ) ‘সংস্থা’ আইনজীবী, হিসাব রক্ষক, হিসাব পরীক্ষক, বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক নিয়োগ দিবে।

(ছ) ‘সংস্থা’র পক্ষ হইতে অনুরোধ পাওয়ার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকার সংস্থাকর্তৃক মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি/জেলা জজের নেতৃত্বে প্রার্থিত সংখ্যক আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টে আলাদা বেঞ্চ গঠন করিবে।

৭। আইনের পরিধি: কর্তব্যরত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ছাড়া দেশে বিদেশে অবস্থানকারী (অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও) পদ, পদবী, অবস্থান, মর্যাদা নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল নাগরিক এই আইনের আওতাভূক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবেন।

৮। পুঁজি প্রদানের খাতসমূহ: ১) কৃষি: টিউবওয়েল, সেচ পাম্প, বিদ্যুৎ সংযোগ, জেনারেটর, ট্রাক্টর, টিলারসহ অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, কাঁচা-পাকা-ক্যানেল নির্মাণ, সার, বীজ, কীটনাশক, খাদ্যগুদাম, বীজ সংরক্ষণ, কৃষক পর্যায়ে শস্য মজুদ, শ্রমিকের মজুরি।

২) হাঁস মুরগী পাখী গবাদিপশু পালন: ক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ, খাদ্য, পরিচর্যা, বিপণন।

৩) মৎস্য পালন: নদনদী, খালবিল, নাসা, জলাশয়, পুকুর খনন, সংস্কার, অবকাঠামো নির্মাণ, পোনা, খাদ্য, সরঞ্জাম ক্রয়, বিপণন। হ্যাচারী গড়ে তোলা।

৪) বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপরোক্ত গ্রামীণ খাতগুলিতে সরবরাহ করার জন্য ট্রাক্টর, টিলার, পিকআপ, ভ্যানসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ক্রয়।

৫) বৃক্ষরোপণ: নার্সারি গড়ে তোলা, চারা গাছ ক্রয়, বীজ, সার সংগ্রহ, সেচ, ভূমি লিজ নেয়া, শ্রমিক নিয়োগ, প্রদর্শনী।

৬) পরিবহন: ট্রাক, বাস, পিকআপ, মাইক্রোবাস, কার, সিএনজি ক্রয়।

৭) কুটির শিল্প:- বেত, বাঁশ, কাঠ, ধাতব দ্রব্য নির্মিত আসবাবপত্র, খেলনা প্রস্তুত ও বিপণন।

৮) ক্ষুদ্র মাঝারি কারখানা স্থাপন, সংস্কার, সম্প্রসারণ।

৯) ছাত্রছাত্রী (শিক্ষা)

১০) শ্রমিক (বিদেশ যাত্রা)

১১) সেবামূলক কার্যক্রম: তথ্য প্রযুক্তি, খাবারের দোকান, পোশাকের দোকান, পার্লার, মুদি, ফলের দোকান, লন্ড্রি।

৮। অগ্রাধিকার: কৃষক, নারী (বিশেষ করে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা), নৃগোষ্ঠী, হরিজন, অনুন্নত অঞ্চলের মানুষ, আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ পুঁজি লাভে অগ্রাধিকার পাইবেন। ৯। যেহেতু উদ্ধারকৃত অর্থ জনগণের অর্থ সেহেতু পুঁজি হবে সুদমুক্ত।

১০। শাস্তি: (ক) কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অবৈধভাবে অর্জিত সমুদয় অর্থ, সম্পদের হিসাব প্রদান করে সংস্থা’র ব্যাংক হিসাবে জমা দিলে তাকে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা হইবেনা। অন্যদের ক্ষেত্রে শান্তি হবে আমৃত্যু কারাবরণসহ সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সংস্থার অনুকূলে স্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করণ। ‘

(খ) সংস্থা’র কোন সদস্য, কর্মকর্তা কর্মচারী, নিয়োজিত অন্য কোন ব্যক্তি, সম্পৃক্ত ব্যক্তি এবং সংগঠকদের দুর্নীতি, অসদাচারণ প্রমানিত হলে তাদের শান্তিও হবে আমৃত্যু কারাবরণ

এবং ‘সংস্থা’র অনুকূলে সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বাজেয়াপ্ত করণ। (গ) “সংস্থা” যে ব্যক্তির বিষয়ে আর্থিক দুর্নীতি, অর্থ পাচার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ করবে

সে ব্যক্তির বিষয়ে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন” ও অন্য কোন সংস্থায় গৃহীত কার্যক্রম স্থগিত হইবে এবং সমূদয় কাগজপত্র, আলামত “সংস্থা’র” কার্যালয়ে, অনুরোধ পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে গৃহীত কার্যক্রমের বিস্তারিত বর্ণনাসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করবে।

(ঘ) “সংস্থা” তফসিলী ব্যাংকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হিসাব খোলা ও অর্থ লেনদেন করিতে পারিবে। উদ্ধারকৃত অর্থ হইতে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রশাসনিক ও অন্যান্য কাজে ব্যয় করিতে পারিবে।

(ঙ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সংস্থা’র তহবিলে

১০০ (একশত) কোটি টাকা থোক বরাদ্দ প্রদান করিবে।

(চ) প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারী ‘সংস্থা’র কাজে সহযোগিতা করিবে এবং অনাথা হইলে তাহা অসদাচরণ হিসাবে বিবেচিত হয়ে বিচারের আওতায় আসবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তা সমভাবে কার্যকর হবে। এ ক্ষেত্রে ৩ (তিন) বছরের কারাদন্ড ও অনুর্ধা

১০ (লক্ষ) টাকা জরিমানা ও উভয় দন্ড দেয়া যাবে।

১১। গণশুনানী: “সংস্থা” বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় ফুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মন্দির, মসজিদ, প্যাগোডা, গীর্জায় কর্মরত ব্যাক্তি, কৃষক, মুক্তিযোদ্ধা, সামরিক, বেসামরিক

অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সমাজসেবক, মানবাধিকার কর্মী সমন্বয় ২১ সদস্যবিশিষ্ট “গণশুনানী কমিটি গঠন করিবে। উক্ত কমিটি দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করিবে এবং মাঠ পর্যায়ে শুনানীর ব্যবস্থা নিবে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হইলে উদ্ধার হওয়া অর্থের শতকরা একভাগ পুরস্কার হিসেবে অভিযোগকারী/কারিদেরকে প্রদান করা হইবে। অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হইলে অভিযোগকারী/কারিদেরকে তিন বছর সশ্রম কারদন্ড দেওয়া যাইবে। বিদেশে ও বিভিন্ন অঞ্চলে “সংস্থা” গণশুনানী কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

১০ ডিসেম্বর ২০২৪ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখে জমায়েত হয়ে আইনের কপি জাতীয় সংসদে জমা দেওয়া হবে।

অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের

সমন্বয়ক ও অনুস্বাক্ষরকারীদের নিশ্বর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার চাই।

অহিংস গণঅভু্যুদান বাংলাদেশের নেতা, সংগঠক ও অনুস্বাক্ষরকারীদের নামে করা এপর্যন্ত প্রাপ্ত মামলা তালিকা

১১ ঢাকা শাহবাগ থানা। মামলা নং- ৩৪ (২৫/১১/২৪১, ধারা- ১২০বি/১০৩/১৪৭/১৪২/১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৪২৭/১০১/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ১৯ জন, অজ্ঞাত ১০০০/১২০০

২১ ডাকা পল্টন থানা। মামলা নং- ২৭ (২৫/১৯/২৫), ধারা- ৪০৬/১২০ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ৭ জন, অজ্ঞাত ১২০/১৫০

৩) ঢাকা চাষানটেক থানা। মামলা নং- ১০ (২৬/১১/২৪), ধারা- ১২০বি/১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩২৩/১০৯/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত : জন, অজ্ঞাত ২০০/২৫০

৪) সাভার থানাঃ মামলা নং- ৬০(১১)২৪, ধারা- ১৫(৩) বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, অভিযুক্ত ৫ জন, অজ্ঞাত ২০/৬০

৫) নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানা। মামলা নং- ৪৪ (২৭/১১/২৪), মায়া ১০৬/৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ১৬ এন, আস্তান্ত

৬) গাজীপুর কালীগঞ্জ থানা: মামলা নং- ৩৭(২৬/১১/২৪), খারা- ১২০বি/১৪৬/১৪৭/১৪২/১০১ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ১৩ তান, অজ্ঞাত ১০০/১২০

৭১ গাজীপুর গামা থানা। মামলা নং- ১৬(১৬/১১/১৪), গাল্লা-১০৬/১৯০/৪১৯ পেনাল কোড ১৮৯০, অভিযুক্ত। জন, অজ্ঞাত

৮) মানিকগঞ্জ সিংগাইর থানা। মামলা নং- ২৯ (২৬/১১/২০), ধারা- ১৫(৩)/৭৫টি বিশেষ প্রমতা আইন ১৯৭৪, অভিযুক্ত ১০

২) কুড়িগ্রাম রাজারহাট থানা। মামলা নং- ২(১৪/১১/২৪), যারা- ১৫(৩)/২৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, অভিযুক্ত ও জন, আমার ১৫০/১৮০

১০) সক্ষীপুর মডেল থানা মামলা নং- ৬৭/৯৫/১১/২৪), ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ও মন, আজ্ঞা 10/14

১১) লক্ষীপুর রামগতি থানা: মামলা নং- ১৫ (১৫/১১/১৪১, ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ৫ জন, আল্লাত ১৫/১

১২) কিশোরগঞ্জ সদর থানা: মামলা নং- ৩৯(২৫/১৯/২৪), মারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোডে ১৮৬০, অভিযুক্ত ৭ জন, সংজ্ঞাত ১৫০/১০০

১৩) কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর খানা। মামলা নং- ১৯(২১/১১/১৪), খারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ৬ জন, অজ্ঞাত

১৪) নেত্রকোনা কলমাকান্দা থানা। মামলা নং- ২১ (২৪/১১/২৪), যারা- ১৫(৩) বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৫, অভিযুক্ত ২০ জন,

১৫) মেহেরপুর মুজিবনগর থানাঃ মামলা নং- ১ (২৩/১১/২৪), খারা- ১৫(৩)/২৫টি বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, অভিযুক্ত ১২ জন

১৬) ফরিদপুর কোতোয়ালী থানা: মামলা নং- ৫৮ (২৭/১১/২৪), ধারা- ৪০৬/৪২০ পেনাল কোড ১৮৬০, অভিযুক্ত ৫ জন, অজ্ঞাত 8/4

১৭) ঢাকা দোহার খানা: মামলা নং- ১৩ (২৬/১১/২৪), যারা- ১৫(৩) বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪, অভিযুক্ত ৬ জন, অজ্ঞাত

দেশের বিভিন্ন খানায় অহিংস পরিবারের বিভিন্ন সংগঠক ও অনুস্বাক্ষরকারীদের নামে ঢালাওভাবে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাব মতে ১৭ মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ১৪৬ জনকে, অজ্ঞাত ২৫০০-৩০০০। তন্মধ্যে ৩৬ জনই নারী ও গ্রামের সহজ সরল মানুষ।

আনুমানিক ১০০ এর অধিক গ্রেফতার ও কারাবাসের শিকার হয়। এদের মধ্যে রয়েছে আড়াই বছরের মেয়ে শিশু মারিয়ামকে নিয়ে এক মা দেলোয়ারা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি প্রিসনে (৩মাস), শারীরিক প্রতিবন্ধী পঞ্চাশোর্ধ মহিলা ও তার স্বামী (৩মাস), মানসিক প্রতিবন্ধী অটিস্টিক পুরুষ (কারাবাস চলমান); গ্রামের খেটে খাওয়া মজুর, গাছি, মাংস বিক্রেতা, অটোচালক, ফল বিক্রেতা, মাদ্রাসার হুজুর, প্রান্তিক উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী-সকলেই ১-৩ মাস কারাবাস যাপন করেন। গ্রামের নিরীহ পুরুষ মহিলারাও ৩০ হাজার থেকে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উকিলদের প্যাকেজ বাণিজ্যে জামিন নিয়েছে। অনেকে উকিল নিযোগ করতে না পাড়ার এখনো কারাগারে।

MD SOJIBUR RAHMAN [NAIK]

MD SOJIBUR RAHMAN [NAIK]

administrator

CHIEF OF STATE ADMINISTRATOR
ID-[CSA]-9590200136
BLOOD GROUP : O+
CONTACT INFORMATION :
CELL PHONE NUMBER- 01831039657
EMAIL ADDRESS – mdnaik1320@gmail.com

See author's posts

Related

Continue Reading

Previous: ‎চন্দন সেন এর ‎”অগ্নি দর্পন” ‎নির্দেশনা: জনি মাহমুদ
Next:  বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ও এর প্রভাব – উপকূলীয় দুর্যোগের বাস্তবতা
https://www.facebook.com/profile.php?id=61574867980794
Tweets by Sampratik2025
https://www.youtube.com/@sampratik2025
  • LOG IN
  • JOIN US
  • SAMPRATIK.COM
  • CONTACT US
  • [IIA]
[WATCHER OF TIME,REVEALER OF TRUTH.] | MoreNews by AF themes.