Skip to content

SAMPRATIK

[WATCHER OF TIME,REVEALER OF TRUTH.]

cropped-SAMPRATIK-2.png
Primary Menu
  • NATIONAL
  • DISCUSSED
  • ECONOMY
  • POLITICS
  • CRIME
  • INVESTIGATION
  • COURT OF LAW
  • SCIENCE
  • EDUCATION
  • HEALTH
  • ACCIDENT
  • WEATHER
  • ENTERTAINMENT
  • OTHER
  • INTERNATIONAL
  • Home
  • WEATHER
  •  বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ও এর প্রভাব – উপকূলীয় দুর্যোগের বাস্তবতা
  • WEATHER

 বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ও এর প্রভাব – উপকূলীয় দুর্যোগের বাস্তবতা

admin admin 30/05/2025
download

লামিয়া ইসলাম নওশীন

স্টাফ রিপোর্টার

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ও এর প্রভাব – উপকূলীয় দুর্যোগের বাস্তবতা

প্রস্তাবনা ও প্রেক্ষাপট

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি নদীমাতৃক দেশ, যার দক্ষিণাংশ বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সমুদ্র দেশের জন্য যেমন একদিকে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, তেমনি আরেকদিকে প্রায়শই দুর্যোগের আশঙ্কা নিয়ে আসে। বিশেষ করে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়।সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত নিঝুম দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এই নিম্নচাপের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাত, যার কারণে হাতিয়া এবং নিঝুম দ্বীপের সাথে সকল প্রকার নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি শুধু একটি সাধারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের অংশ নয়; এটি একটি সামগ্রিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ইঙ্গিত বহন করে, যা দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।বাংলাদেশের ভূগোলগত অবস্থান এমন এক স্থানে যা নিয়মিতই জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ প্রায়শই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি, তবে দুই দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এই ভারী বর্ষণ যেমন ফসলের ক্ষতি করে, তেমনি শহর ও গ্রামাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণনিম্নচাপ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে একাধিক বৈজ্ঞানিক কারণ। যখন সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন সমুদ্রের উপরিভাগের বাষ্পীকরণ বৃদ্ধি পায়। এই বাষ্প উচ্চমন্ডলে উঠে ঠান্ডা হয়ে ঘনীভূত হয় এবং নিম্নচাপ সৃষ্টি করে। এই নিম্নচাপ অঞ্চল চারপাশের বাতাসকে নিজের দিকে টানে এবং সৃষ্টি হয় ঘূর্ণন প্রক্রিয়া।

বঙ্গোপসাগর হচ্ছে এমন একটি অঞ্চল যেখানে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার প্রভাব প্রবল। এখানে এপ্রিল থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এই সময়গুলোতে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, যা নিম্নচাপ সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর ভূগোল ও ঝুঁকিবাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো যেমন: কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, খুলনা, সাতক্ষীরা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও বরিশাল—এসব এলাকাগুলো ভূগোলগতভাবে নিচু। এর ফলে সামান্য জলোচ্ছ্বাস বা বৃষ্টিপাতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।হাতিয়া এবং নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকেন। এখানে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, মাটির ধ্বস ও ঘূর্ণিঝড় একটি চিরচেনা চিত্র। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জরুরি সহায়তার অভাব এই দুর্যোগের প্রভাব আরও তীব্র করে তোলে।

বর্তমান দুর্যোগের বিস্তারিত বিশ্লেষণ

২০২৫ সালের মে মাসে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়, যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ না নিলেও প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি করেছে। হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত। সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং জেলেদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।এই দুর্যোগের ফলে দ্বীপবাসীরা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ সমস্যায় পড়েছেন। অনেক ঘরবাড়ি ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও অফিস-আদালত বন্ধ রাখতে হয়েছে। স্কুলগুলিকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

পরিবেশগত ও কৃষি ক্ষতি

এই ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত ও বাতাস পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। উপকূলীয় বনাঞ্চল যেমন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হয়। কৃষিজমিতে পানি জমে ফসল নষ্ট হয়। চিংড়ি ও মাছ চাষের খামারগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়।হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে প্রচুর ধান ও শাকসবজি চাষ হয়। এ সময়টাতে ধান কাটা ও ঘরে তোলার মৌসুম থাকে। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের ফসল মাঠেই পঁচে যায়, যা তাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়।

জনজীবন ও অর্থনীতির উপর প্রভাব

দুর্যোগের সময় নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপের মানুষ মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চিকিৎসা, খাদ্য ও জরুরি পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েন। ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে।উপকূলীয় পর্যটন শিল্প, যেমন নিঝুম দ্বীপে পর্যটকদের সংখ্যা কমে যায়, যার ফলে স্থানীয় পর্যটন নির্ভর অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়ে, কারণ কৃষি উৎপাদন হ্রাস পায় এবং পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হয়।

সরকারের ভূমিকা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

সরকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ (DDM) ইতোমধ্যেই সতর্ক সংকেত জারি করেছে এবং নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দিয়েছে এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছে।তবে বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাগুলোর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি যেমন পূর্বাভাস প্রদান, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং আশ্রয়কেন্দ্র উন্নয়ন—এগুলোতে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন।

ভবিষ্যৎ প্রস্তুতি ও করণীয়

নিম্নচাপ ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম:

1. আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করা
2. উপকূলীয় বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ
3. স্থানীয় জনগণকে দুর্যোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান
4. কৃষিতে টেকসই প্রযুক্তি প্রয়োগ
5. উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ
6. দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠন

উপসংহার

বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ আমাদের জন্য একটি বার্তা—প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকার কৌশল শিখতে হবে। শুধুমাত্র সরকারের উপর নির্ভর না করে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকেও প্রস্তুত থাকতে হবে। দুর্যোগ কখনোই পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য নয়, তবে সচেতনতা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এর ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা আমাদের দেখিয়ে দেয়, দুর্যোগ শুধু একটি প্রাকৃতিক ঘটনা নয়—এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত বাস্তবতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই সময় এসেছে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি দুর্যোগ-সহনশীল সমাজ গঠনের।

admin

admin

administrator

See author's posts

Related

Continue Reading

Previous: “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” গঠনে আইন প্রণয়ন কর প্রসঙ্গে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ এর সংবাদ সম্মেলন
Next: কোরবানির পশুর হাট – নোয়াখালীর আল আমিন বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা
https://www.facebook.com/profile.php?id=61574867980794
Tweets by Sampratik2025
https://www.youtube.com/@sampratik2025
  • LOG IN
  • JOIN US
  • SAMPRATIK.COM
  • CONTACT US
  • [IIA]
[WATCHER OF TIME,REVEALER OF TRUTH.] | MoreNews by AF themes.